এবারের বিজয় জনগণের বিজয় : প্রধানমন্ত্রী

| আপডেট :  ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩৯  | প্রকাশিত :  ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩৯


এবারের বিজয় জনগণের বিজয় : প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


দেশের গণতন্ত্রের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন, এবারের বিজয় জনগণের বিজয়।   

৮ জানুয়ারি, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গণভবনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি এসব কথা বলেন।

ভোটে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণ অংশ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইন প্রণয়ন থেকে শুরু করে সবকিছুই করেছে আওয়ামী লীগ।  ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন, আমাদের সে কাজটা করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। অর্থাৎ মানুষে যে মৌলিক চাহিদা, তাদের খাদ্য নিরাপত্তা, কাপড়ের ব্যবস্থা সেই সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে জীবনটা উন্নত করতে হবে। এই চিন্তা থেকেই সব সময় কাজ করছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। এবারের নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী মনোনয়ন করার পাশাপাশি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। মানুষের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন।

বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের বাংলাদেশে আসার জন্য তিনি নিজের, পরিবার ও দেশের মানুষের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আপনারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন, আমাদের দেশের কথা বলবেন। আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর।

তিনি বলেন, একটি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। মিলিটারি ডিক্টেটর থেকে যে দল সৃষ্টি তারা নির্বাচন ভয় পায়, কারণ তাদের জনসমর্থন থাকে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিলিটারি ডিক্টেটররা আমার দলকে রাজনীতি করতে দেয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে তাদের ক্ষমতায় বসায়। ওই অবস্থায় আমি দেশে ফিরি। আমার লক্ষ্য ছিল, মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আমার চলার পথ সহজ ছিল না। মৃত্যুকে বারবার কাছ থেকে দেখেছি। বাবার আদর্শ নিয়ে কাজ করছি। মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। ২১ বছর পর সরকার গঠন করে মানুষের জন্য কাজ শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, যাতায়াতের কোন পথ ছিলো না, অনেক সময় পায়ে হাঁটতে হয়েছে। ছোট নৌকা, স্পিড বুট বা মাছের নৌকা দিয়ে সাগর পাড়ি দিতে হয়েছে। ২১ বছর পর যখন ক্ষমতায় এসেছি মানুষের কাজ করার জন্য, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করা, আমাদের দলের নীতিমালা আমরা তৈরি করি, আমাদের ইকোনোমিক পলিসি থেকে সব প্রস্তুত ছিলো সেভাবে কাজ করতে থাকি। আবার আমাদের সমস্যা দেখা দেয়, ইমার্জেন্সি ডিক্লেয়ার হয়। আমি গ্রেফতার হয়। এরপর নির্বাচন হয় ২০০৮ এ। সে নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়। সে নির্বাচনে আমাদের দল ২৩৩টা সিটে জয়ী হয়। বিএনপি তারা পেয়েছিলো মাত্র ৩০টা সিট। বাকি সিট অন্যরা পায়।

এসময় দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে পুতুলসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিবার্তা/জবা

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত