গাইবান্ধায় কাঁচা মরিচের কেজি ৩২০ টাকা, ক্রেতাদের নীরব কান্না

| আপডেট :  ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৩  | প্রকাশিত :  ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৩


গাইবান্ধায় কাঁচা মরিচের কেজি ৩২০ টাকা, ক্রেতাদের নীরব কান্না

সারাদেশ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি


গত সপ্তাহে গাইবান্ধার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১৬০ টাকা দামে। সেটি একলাফে বেড়ে ৩২০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে এখন। একই সঙ্গে বেড়েছে অন্যান্য সবজির দামও। এতে করে সাধারণ ক্রেতারা পড়েছে বিপাকে। নিত্যপণ্যের বাজারে বেশি মূল্যের কারণে হাঁপিয়ে উঠছেন তারা।

১৭ আগস্ট, শনিবার গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়-প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০০ থেকে ৩২০ দামে বেচাকেনা হচ্ছে। এসময় ঊর্ধ্বগতি দাম নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাথে ক্রেতা সাধারণের তর্ক-বিতর্ক করতেও দেখা গেছে।

জানা যায়, খরিপ-১ মৌসুমের কাঁচা মরিচ আবাদ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত এ সময়টা আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ সৃষ্টি হয়। গত সপ্তাহ আগ পর্যন্ত ক্ষেত থেকে অধিক পরিমাণ মরিচ উৎপাদন করছিলেন কৃষকরা। সেই সময়ে দেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে জেলার বাহিরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে স্থানীয় বাজারে চাহিদা কম থাকায় ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন তারা। বর্তমানে জেলার বাহিরে কাঁচা মরিচ পাঠানোয় এর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। একই সঙ্গে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আসা বন্ধ হওয়ায় অস্বাভাবিক হারে দাম বেড়েছে বলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।      

এদিকে, দাম বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজিরও। এর মধ্যে- প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। এছাড়াও অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানায়।  

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার গোলাপবাগ হাঁট থেকে আসা শরিফ মিয়া জানান, তিনি ৩০ শতক জমিতে মরিচ আবাদ করেছেন। সম্প্রতি বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গত সপ্তাহের তুলনায় উৎপাদন কমেছে অর্ধেকে। এমতাবস্থায় স্থানীয়ভাবে চাহিদা বেশি থাকায় পাইকারি দরে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৯০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।

বাগদা বাজারে মরিচ কিনতে আসা  বিভিন্ন জনের সাথে কথা বললে তারা জানান, এক দিকে দেশের অস্থিশীল অবস্থায় কমেছে আয়-রোজগার। অন্যদিকে কাঁচা মরিচসহ বেড়েছে শাক-সবজির দাম। এমন পরিস্থিতির কারণে ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে।

আরেক ক্রেতা মেজবাউল মিয়া বলেন, আশা করছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপে নিত্যপণ্যের দাম কমবে। কিন্তু সেই ফল এখনো পাচ্ছি না।

গাইবান্ধা জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন জানান, জেলা জুড়ে হাট-বাজারে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।

বিবার্তা/খালেক/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত