গাজার ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের হামলা

| আপডেট :  ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:১০  | প্রকাশিত :  ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:১০


গাজার ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের হামলা

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় একদিনে হামাসের ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত মঙ্গলবার সারাদিনে এই পরিমাণ আক্রমণ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এছাড়া সংঘাতের কারণে লেবাননের ৭৬ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিবৃতির বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা তাস বলেছে, হামাসের প্রায় ১৫০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এক দিনে এই হামলা চালানো হয়েছে। বাহিনীটি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস করার জন্য একযোগে স্থল, জল ও আকাশপথে অবিরত হামলা করছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালানোর সময় বিমানবাহিনীকে (আইএএফ) বিমান হামলার নির্দেশ দিয়েছে আইডিএফ স্থলবাহিনী। সেই হামলায় ১০ জনের বেশি বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। তাছাড়া এ হামলায় মধ্য গাজার মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে ১৫টির বেশি ভূগর্ভস্থ টানেল খুঁজে পেয়েছে আইডিএফের স্থলবাহিনী। লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে অভিযানের সময় রকেট তৈরির একটি মেশিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ লেবাননে অন্তত ৭৬ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ কথা বলেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, লেবাননে বাস্তুচ্যুতির কারণ ‘দক্ষিণ থেকে চালানো লড়াই’।

সতর্ক করে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, লড়াই আরও বেড়ে গেলে সীমান্তরেখার (বø– লাইন) দুপাশে বেসামরিক মানুষরা আরও ধ্বংসাত্মক পরিণতির মুখোমুখি হবে।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েল, লেবানন ও অধিকৃত গোলান মালভ‚মির মধ্যে জাতিসংঘ কার্যত যে সীমানা রেখা টেনে দিয়েছে, তা ‘ব্লু– লাইন’ নামে পরিচিত।

এ বিষয়ে স্টিফেন ডুজারিক আরও বলেন, মানবিক সহায়তা ঢুকতে দেয়ার বিষয়টি (বিশেষত বø– লাইন বরাবর) এখনও সীমিত রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতি আমাদের সেসব এলাকায় প্রয়োজনীয় সরবরাহের উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েল সরকারের হিসাব অনুসারে, ওই হামলায় প্রায় এক হাজার ১৪০ জন নিহত হন। ২৪০ ইসরায়েলিকে জিম্মি করা হয়। এর মধ্যে যুদ্ধবিরতির আওতায় কিছুসংখ্যক বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়। ইসরায়েলের দাবি, এখনও ১৩২ জিম্মি রয়েছেন। কমপক্ষে ২৫ জিম্মি হত্যার শিকার হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৩ হাজার ২১০ জন নিহত হয়েছেন।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত