ঘুমের মধ্যে কথা বলার কারণ ও প্রতিকার
ঘুমের মধ্যে অনেকেই বিড়বিড় করে কথা বলেন। কখনো কথা এতই জড়িয়ে যায়, তার পাশে শোয়া ব্যক্তিও উদ্ধার করতে পারে না। আপনি হয়ত জানেনই না আপনি ঘুমের মধ্যে কথা বলেন। হয়ত সঙ্গীর কাছ থেকে প্রথম জেনেছিলেন আপনি ঘুমের মধ্যে বিড়বিড় করে কথা বলেন। তবে বিশ্বাস করেননি। নিজের পক্ষে এটা বোঝা সম্ভব নয়। অন্য কেউ বলে দিলে তখনই জানা যায়। আপাতত এটা কোনো সমস্যা নয়, এই ধরনের অভ্যাসের নেপথ্যে লুকিয়ে থাকে বহু কারণ। একজন মানুষ ঘুমের মধ্যে অনেক কারণেই কথা বলে থাকতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী কারণ রয়েছে এর পেছনে। * যদি কোনো ব্যক্তি দীর্ঘ সময় শারীরিক অসুস্থতায় থাকেন তখন সেই ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে ঘুমের মধ্যে কথা বলে থাকতে পারেন। অনেক সময়েই এই অসুস্থতা বাইরে থেকে বুঝা যায় না। কিন্তু চিকিৎসককে বিষয়টি জানালে তিনি প্রকৃত কারণ বলতে পারেন। * অনেকেই হয়ত কোনো কারণে মানসিক চাপে ভুগছেন। তার প্রভাবও পড়তে পারে ঘুমের ওপর। ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা বাড়তে পারে এর ফলে। * দৈনিক পর্যাপ্ত ঘুম না হলে অনেকের এই সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে ঘুমের মধ্যে কথা বলেন তারা। তবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে জীবন যাপন করলে এই অভ্যাস কিছুটা কমানো যেতে পারে। নিচে একটি তালিকা দেওয়া হলো। * নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে। ঘুম থেকে উঠতেও হবে নির্দিষ্ট সময়ে। তা হলে এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে। * প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম খুব দরকারি। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে এই অভ্যাস আস্তে আস্তে কেটে যায়। ঘুমের ঘাটতি এবং অত্যধিক ক্লান্তির কারণে এমন হতে পারে। * রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভারী খাবার খেলেও এই সমস্যা হয়। সেটিও কমাতে পারলে ভালো। হালকা খাবার খেলে ঘুমের মধ্যে কথা বলার সমস্যা কমে। তাছাড়া রাতে হালকা খাবার খেলে হজমের গোলমালও হতে পারে না। * সন্ধ্যার পরে চা বা কফি জাতীয় পানীয় খেলে গভীর ঘুম হয় না। তাতে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা বাড়ে। ঘুম যদি গভীর হয়, তাহলে এই ধরনের সমস্যা বিশেষ হয় না। * ঘুমাতে যাওয়ার আগে কী ফোন ঘাঁটেন? এটিও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করুন। ঘুমের মধ্যে কথা বলার অভ্যাস এতে কমবে। বিবার্তা/জেএইচ
ঘুমের মধ্যে কথা বলার কারণ ও প্রতিকার
লাইফস্টাইল ডেস্ক
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত