চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্য

| আপডেট :  ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫১  | প্রকাশিত :  ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫১


চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্য

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি


চুয়াডাঙ্গার রাস্তাঘাট, পাড়া মহল্লায় বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্য। যার ফলে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থী, শিশু ও পথচারীদের। কুকুরের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন এলাকাবাসী।

এছাড়া কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে মানুষদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে হাসপাতালে। বেওয়ারিশি এসব কুকুর নিধনে পৌরসভা ও প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকায় আতঙ্ক কাটছে না সাধারণ মানুষের।

রাতে বেওয়ারিশ কুকুরগুলোর ডাকে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে এলাকাবাসীর। এছাড়া রাতে মহল্লায় চলতে গেলে দল বেঁধে কুকুর এসে পথ আটকে রাখে। কেবল যে পায়ে হাঁটা পথিক কুকুরের আক্রমণের শিকার, তা নয়। মোটরবাইক আরোহীদের ওপরও কুকুরগুলো চড়াও হচ্ছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, শহরের বিভিন্ন সড়কে কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। কুকুরের আক্রমণে শিশুসহ নারী-পুরুষ জখম হচ্ছে। রাতের বেলা সড়কের ওপর শুয়ে থাকছে কুকুরের দল। এতে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ দিনে অর্থাৎ ১ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে শিশুসহ মোট চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৬ জন। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাক্সিন রয়েছে।

তবে জেলার দামুড়হুদা, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ভ্যাকসিন সুবিধা না থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নেই অ্যান্টি-র‍্যাবিস ভ্যাকসিন। ফলে কুকুর-বিড়ালে আঁচড় কিংবা কামড়ালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এসে ভ্যাকসিন দিতে হচ্ছে। ফলে ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে রোগীদের।

আলমডাঙ্গা থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক নারী জানান, তিনি গতকাল কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তারা জানান এখানে ভ্যাকসিন নেই। কিনে দিতে হবে, অথবা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে দিতে হবে। পরে বাধ্য হয়ে সদর হাসপাতালে এসেছি।

চুয়াডাঙ্গা পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, আইন অনুযায়ী কুকুর নিধনের অনুমতি নেই। তবে যেহেতু শহরে কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

জেলা প্রশাসন বলছে, চাইলেই কুকুর মেরে ফেলা যায় না। আইনত কিছু বিধিনিষেধ রয়ে গেছে। স্থানীয় সরকার কিছু প্রতিষ্ঠানকে এখতেয়ার দেওয়া আছে, যদি জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ে সে ক্ষেত্রে বেওয়ারিশ কুকুরের বিষয়ে কিছু কার্যক্রম আছে। সে অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা ব্যবস্থা নিতে পারে।

বেওয়ারিশ কুকুর যদি জনস্বাস্থ্যের হুমকি হয় তাহলে বিধিবিধান প্রক্রিয়া আছে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেভাবে পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করা উচিত। প্রয়োজনে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নির্দেশনা দেবে জেলা প্রশাসন।

বিবার্তা/আসিম/এমজে 

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত