জাতীয় দিবসগুলো স্কুলের ছুটির তালিকা থেকে বাদ যাবে?

| আপডেট :  ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২:১৮  | প্রকাশিত :  ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২:১৮

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির তালিকায় জাতীয় ও বিশেষ দিবসগুলো ছুটি হিসেবে দেখানো হলেও শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনে এসব দিনগুলোতে শিক্ষকদের স্কুলে উপস্থিত হতে হয়। কিন্তু স্কুল খোলা রেখে বিশেষ দিবসগুলো শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে উদযাপন করতে চান শিক্ষকরা।

তাই, বিশেষ দিবসগুলো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ। এ দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি দিয়েছেন পরিষদের নেতারা।

মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের এক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি জমা দেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো জাকির হোসেনসহ গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে স্মারকলিপির অনুলিপি দেয়া হয়েছে। পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্মারকলিপিতে নেতারা বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় ও বিশেষ দিবসে ছুটির তালিকায় ছুটি দেখানো হয়। পাশাপাশি যথাযথ মর্যদায় দিবসগুলো পালনে নির্দেশনা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় আসতে বারণ করে শিক্ষকদের বিদ্যালয় উপস্থিত হয়ে যথাযথ মর্যদায় দিবসগুলো পালন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে প্রতারণার শামিল। বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ এ দিবসগুলো বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে, বিদ্যালয় খোলা রেখে আনন্দঘন পরিবেশে সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আবেদন জানাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া স্মারকলিপিতে নেতারা আরও বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকেরা সরকারি কর্মচারীর মর্যাদা পেয়েও তারা অন্যান্য সরকারি কর্মচারীর মতো সরকারি বিধি মোতাবেক শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পাচ্ছেনা। ৩ বছর পরপর এ ভাতা প্রাপ্তির জন্য গ্রীষ্মের ছুটির সাথে এসব দিবসগুলোর ছুটি যোগ করে ১৫দিন করা হলে, প্রাথমিক শিক্ষকদের সরকারি কর্মচারীদের মতো শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।

নেতারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। অথচ শিশু শিক্ষা বৈষম্যের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। বৈষম্যের গ্রাস থেকে শিশুদের রেহাই দিতে সব শিশুর জন্য অভিন্ন (বই, সময়সূচি, মূল্যায়ন ব্যবস্থা) চালু করার প্রত্যাশা করছি।

স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় প্রতিনিধি দলে ছিলেন পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র সভাপতি এম এ ছিদ্দিক মিয়া, গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও লক্ষীপুর জেলা শাখার সভাপতি মো: সামুদ্দিন বাবুল ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও গোপালগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক রাজু আহম্মেদ লেলিন, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও কুমিল্লা জেলার সদস্য সচিব আব্দুল কাদের এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরীর মহিলা সম্পাদিকা সুরভি আক্তার। এসময় মজিব শতবর্ষ, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্ত্রী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের প্রকাশিত স্মরণিকা ‘৫০ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা’ প্রধানমন্ত্রীর জন্য তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত