জীবিত আকিরণ নেচ্ছা সরকারি নথিপত্রে মৃত!

| আপডেট :  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৯  | প্রকাশিত :  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৯


জীবিত আকিরণ নেচ্ছা সরকারি নথিপত্রে মৃত!

সারাদেশ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি


জলজ্যান্ত একটা মানুষ। দিব্যি সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেঁচে আছেন। কিন্তু সরকারের খাতায় কলমে তিনি নাকি ‘মৃত’। আর সেই কারণেই ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের আকিরণ নেচ্ছা (৭১)।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আকিরণ নেচ্ছা তার ছেলের বউকে সাথে নিয়ে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমি বেঁচে আছি কিন্তু কিভাবে আমাকে মৃত দেখানো হলো। আপনি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও আমার ভাতা পুনরায় আমাকে ফিরিয়ে দিবেন। সেই সাথে এই অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার চাই।

তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের দেওয়া সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে পাংশা উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে বয়স্ক ভাতা পেয়ে আসছি। হঠাৎ করে ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে আমার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। কেন ভাতা বন্ধ হয়েছে এ বিষয়ে কলিমহর ইউনিয়ন পরিষদ ও পাংশা উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারি আমি আর বেঁচে নেই। আমি মৃত তাই আমার স্থলে অন্য একজন নারী বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন।

কলিমহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিলকিস বানু বলেন, আমি চেয়ারম্যান আমার অনেক কাগজে স্বাক্ষর দিতে হয়। মৃত সনদের ক্ষেত্রে সাধারণত মেম্বার দিয়েই তদন্ত করা হয়। তবে এই মৃত সনদের ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে। আমার ইউনিয়নের মেম্বার আনোয়ার হোসেন কালু এই কাজটি করেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে আমি মেম্বারকে ডেকেছিলাম। সে তার ভুল স্বীকার করে ঠিক করে দিতে চেয়েছে।

পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন,জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়া বয়স্ক ভাতা কেটে অন্য একজনকে দেওয়া হয়েছে এমন একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমি উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার উপর তদন্ত দিয়েছি। এর সত্যতা পাওয়া গেলে যার নাম বাদ পড়েছে তার নাম বয়স্ক ভাতায় পুনর্বহাল করা হবে। এই কাজে যদি কেউ জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিবার্তা/মিঠুন/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত