টানা তৃতীয় দিনের মতো চুয়াডাঙ্গায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে

| আপডেট :  ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৪  | প্রকাশিত :  ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৪


টানা তৃতীয় দিনের মতো চুয়াডাঙ্গায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে

সারাদেশ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি


গত শুক্রবার থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মধ্য বেলায় সূর্য উঠলেও উত্তাপ না থাকায় এবং উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে তীব্র শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুন।

একদিকে যেমন উত্তাপহীন সূর্য অন্যদিকে সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা।

রবিবার, ১৪ জানুয়ারি সকাল ৬টায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। সে সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৫ শতাংশ। আর সকাল ৯টা তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৪ শতাংশ।

এর আগে, গতকাল শনিবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর শুক্রবার  সকাল ৯টায় সর্বমিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বমিম্ন তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতের কারণে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে সদর হাসপাতালের শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোয় ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেজ্ঞরা বলছেন,  কয়েক দিন ধরে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র শীতে বেশি নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগীদেরকে চিকিৎসা এবং সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শীতে শিশু এবং বয়স্ক ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে বাড়তি সর্তকতা অলম্বন করতে হবে।

চিকিৎসকরা আরও বলেন, এই শীতে টাটকা ও গরম খাবার খাওয়াতে হবে। কোনোভাবেই বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। পানি ফুটিয়ে পান করতে পারলে ভালো হয়। আর শিশুদের সকাল সন্ধ্যায় গরম পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। কোনোভাবেই বেশি ঠান্ডা লাগতে দেওয়া যাবে না।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম  বলেন, গত শুক্রবার থেকে এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপমাত্রা আরও ২/১ দিন অব্যহত থাকতে পারে। আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির শঙ্কা আছে। এতে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।

বিবার্তা/আসিম/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত