‘টেডি ডে’ কেন? জানুন আসল কারণ
ভাল্লুকের মতো দেখতে পুতুল। তার নাম টেডি। আবার সেই টেডি-র জন্য আলাদা একটি দিনও রয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি। অনেক মেয়ে এই টেডি পুতুল খুব পছন্দ করেন। ফলে আজকের দিনে অনেকেই প্রিয় মানুষকে টেডি উপহার দেন। টেডি বিয়ার। এই নামের পিছনে রয়েছে ইতিহাস। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ মানেই ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ। ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের চতুর্থ দিন টেডি ডে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি থিওডোর রুজভেল্ট একবার শিকারে গিয়েছিলেন। সহকারী হল্ট কোলিয়ার ছিলেন তাঁর সঙ্গে। বনে এক আহত কালো ভাল্লুককে দেখেন রাষ্ট্রপতি। সবাই তাঁকে বলে, ভাল্লুকটি আহত, শিকার করার সুযোগ ভাল। তবে আহত পশুকে দেখে মন গলে যায় রাষ্ট্রপতির। তিনি ভাল্লুকটি প্রাণে না মেরে তার সুশ্রুষা করার ব্যবস্থা করেছিলেন। ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ পত্রিকা রুজভেল্টের উদারতার একটি ছবি ছাপে। সেই সময়ের নাম করা কার্টুনিস্ট ক্লিফোর্ড বেরিম্যান এঁকেছিলেন সেই ছবি। ওই ছবি দেখে ব্যবসায়ী মরিস মিকটম একটি ছোট্ট ভাল্লুকের আকৃতির পুতুল তৈরি করেন। সেই পুতুল মিকটমের স্ত্রী ডিজাইন করেছিলেন। ওই পুতুলের নাম দেওয়া হয় টেডি। আসলে রাষ্ট্রপতি রুজভেল্টের ডাক নাম টেডি। তাঁর অনুমতি নিয়ে সেই পুতুলের এমন নাম দেওয়া হয়। টেডি নরম এবং সুন্দর। এমন ভাল জিনিস দেখে ভালবাসার ইচ্ছে বেড়ে যায়, এমনটাই বিশ্বাস করা হয়। উদারতা, ভালবাসা ও সহানুভূতি-এই তিনটি টেডির সঙ্গে জুড়ে। তাই ভ্যালেন্টাইনস উইখ-এ টেডি ভালবাসার অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ বহন করে বলে মনে করা হয়। বিবার্তা/এসবি
‘টেডি ডে’ কেন? জানুন আসল কারণ
বিবার্তা ডেস্ক
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত