নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য চতুর্থবারের মতো ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব

| আপডেট :  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৪  | প্রকাশিত :  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৪


নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য চতুর্থবারের মতো ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য চতুর্থবারের মতো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। রিপাবলিকান দলের নিউইয়র্কের আইনপ্রণেতা ক্লডিয়া টেনি এ প্রস্তাব করেন। তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ‘ঐতিহাসিক’ নীতির কারণে ট্রাম্পের শান্তিতে নোবেল পাওয়া উচিত।

ক্লডিয়া টেনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আব্রাহাম অ্যাকর্ডস চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছেন। এজন্য তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিবৃতিতে ক্লডিয়া আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে কয়েক দশক ধরে চলে আসা অচলাবস্থা নিরসনে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো ব্যর্থ হয়েছে।

ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ২০২০ সালে ওই চুক্তির কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন, মরক্কো, সুদান। এ ক্ষেত্রে যে চুক্তি করা হয় অর্থাৎ আব্রাহাম অ্যাকর্ডস স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ট্রাম্প।  

টেনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টায় ৩০ বছরের মধ্যে কোনো শান্তিচুক্তিতে পৌঁছায় মধ্যপ্রাচ্য। দশকের পর দশক আমলাতন্ত্র, পররাষ্ট্র নীতি, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো শুধু বলে গেছে যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধান ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি সম্ভব নয়। ট্রাম্প সেই ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছেন।  

টেনি উল্লেখ করেছেন, ১৯৭৮ সালে মিসর-ইসরায়েল শান্তিচুক্তি এবং ১৯৯৪ সালের অসলো চুক্তি উভয়ই নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত আব্রাহাম চুক্তিতে ট্রাম্পের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।

টেনির মতে, আব্রাহাম অ্যাকর্ডস প্রতিষ্ঠায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহসী প্রচেষ্টা ছিল ‘নজিরবিহীন’, যা নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটি বারবার অস্বীকার করে চলেছে।

এর আগেও একাধিকবার ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি পুরস্কার পাননি। ২০২০ সালে তার নাম প্রস্তাব করেছিলেন নরওয়ের পার্লামেন্ট সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং। তার আগে ২০১৯ সালে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করায় তার নাম প্রস্তাব করা হয়। ২০২০ ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ায় তার নাম প্রস্তাব করা হয়।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত