বাংলাদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণে নতুন প্রস্তাব বিবেচিত হতে পারে: রণধীর জসওয়াল

| আপডেট :  ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৬  | প্রকাশিত :  ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৬


বাংলাদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণে নতুন প্রস্তাব বিবেচিত হতে পারে: রণধীর জসওয়াল

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী জেলায় ভয়াবহ বন্যার জন্য ভারত দায়ী নয় বলে আবারও দাবি করল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় ফেনী বন্যার কবলে পড়েছে এমন দাবি সঠিক নয় জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল বলেন, বাংলাদেশের বন্যা মোকাবিলায় নতুন কোনো মেকানিজম বা ব্যবস্থার প্রস্তাব মানুষের দুর্দশা কমাতে পারলে সেটি বিবেচনা করবে ভারত।

৩০ আগস্ট, শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে রণধীর জসওয়াল সাংবাদিকদের সঙ্গে নানান বিষয়ে আলোচনাকালে একথা বলেন।

বাংলাদেশের ভয়াবহ বন্যা নিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এটি বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা বলে দাবি করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদন আমাদের নজরে এসেছে। প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর ও আসলে সত্য নয়। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে যেসব বক্তব্য দেওয়া হয়েছিল, সিএনএনের প্রতিবেদনে সেসব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যৌথ পানি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার আওতায় আমরা যে বাংলাদেশের সঙ্গে নিয়মিত ও সময়মতো তথ্য আদান-প্রদান করি, সেটিও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়নি।

গত সপ্তাহে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অভিযোগের মুখে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে তারা দাবি করে, ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যা হয়নি। ত্রিপুরা ও বাংলাদেশে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কারণেই এই বন্যা হয়েছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ২২ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। সেসময় তিনি বন্যা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া ও পানিবণ্টন নিয়ে ড. ইউনূস কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। তাদের পানিসম্পদ ব্যবহার, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বহুদিন ধরেই স্বীকৃত কিছু ‘মেকানিজম’ রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা আছে। এ অনুযায়ী ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ভারত নিয়মিতভাবে ঠিক সময়ে সব তথ্য সরবরাহ করে।

তিনি বলেন, নতুন কোনো মেকানিজম বা ব্যবস্থার প্রস্তাব প্রচলিত ব্যবস্থার উন্নতি ঘটালে ও মানুষের দুর্দশা কমাতে পারলে তা নিয়ে দুই দেশ আলোচনা করতেই পারে। বিবেচিত হতেই পারে।

বিবার্তা/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত