মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে হয়রানির শিকার শিক্ষকরা

| আপডেট :  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:৫৪  | প্রকাশিত :  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:৪৭

ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে একটি ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক হাবিবুর রহমান এসেছিলেন রাজধানীর নিউ বেইলি রোডের মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে। দপ্তরের একজন সহকারি পরিচালক তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। মন খারাপ করে তিনি চলে যান সচিবালয়ের মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগে। সেখানে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ওই সহকারি পরিচালকের বিরুদ্ধে।

শুধু হাবিবুর রহমান নন, শত শত শিক্ষক হয়রানির শিকার। বিশেষ করে এমপিওর খোঁজে আসা শিক্ষকদের হয়রানি করা হয় বেশি। এছাড়া এমপিওভুক্ত মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন-ভাতার চেক ছাড়, নিয়োগ বোর্ডে মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়ন ও পদোন্নতিসহ বিভিন্ন কাজে সব অধিদপ্তরের চেয়ে পিছিয়ে মাদরাসা অধিদপ্তর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নারী সহকারি পরিচালক সহকর্মী ও ব্যাচমেটদের সঙ্গেও খারাপ ঔদ্ধত্যপূরর্ণ আচরণ করেন। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের এই কর্মকর্তা সম্পর্কে মাদরাসা অধিদপ্তরের কয়েকজন পরিচালক ও উপপরিচালকের সঙ্গে কথা বলে একই চিত্র পাওয়া গেছে। জুনিয়র হয়েও একই ক্যাডারের সিনিয়রদের সঙ্গে ঔদ্ধত্য দেখান এই সহকারি পরিচালক।

শুরু থেকে অধিদপ্তরটিতে প্রশাসন ও শিক্ষা ক্যাডারের বিতর্কিত ও বিএনপি-জামাতপন্থীদের পদায়ন দেয়া হচ্ছে। সাবেক মহাপরিচালক যুগ্ম-সচিব মো. বেলাল হোসেন এই অধিদপ্তরেই জামাত নেতা কামাল উদ্দীন জাফরির সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন একাধিকবার। সেই খবর দৈনিক শিক্ষাডটকমসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর বেলালকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে শফি উদ্দিন নামে আরেকজন ডাক ক্যাডারের কর্মকর্তাকে মহাপরিচালক করা হয়। তিনি আরবি পড়তে, লিখতে ও বলতে পারতেন না। এ নিয়ে মাদরাসা শিক্ষকদের অভিযোগ ছিল। তাকেও অন্যত্র বদলি করা হয়।

বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা জহির উদ্দিন বলেন, ‘অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিভিন্ন কাজে আসা শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা বন্ধ করতে হবে। এমপিওসহ নানা কাজে অভিজ্ঞদের এই দপ্তরে পদায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, কাজে গতি আসবে, স্বচ্ছতা আসবে এমনটাই আশা ছিলো নতুন অধিদপ্তরের কাছে। কিন্তু উল্টো হয়েছে। শিক্ষা ভবনের চেয়েও এখানে হয়রানি বেশি।

অভিযোগের বিষয়ে মহাপরিচালক কে এম রুহুল আমীনের মতামত জানার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
সূত্র: দৈনিক শিক্ষা

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত