মুছাপুর রেগুলেটর পুনঃনির্মাণের দাবিতে সোনাগাজীতে মানববন্ধন

| আপডেট :  ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৯  | প্রকাশিত :  ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৯


মুছাপুর রেগুলেটর পুনঃনির্মাণের দাবিতে সোনাগাজীতে মানববন্ধন

ফেনী প্রতিনিধি


ছোট ফেনী নদীর ওপর ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৩ বোল্টের মুছাপুর রেগুলেটর পানির তোড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর পুনঃনির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন  করেছে সোনাগাজী বাসী।

২ সেপ্টেম্বর, সোমবার সকালে সোনাগাজী পৌর শহরের জিরোপয়েন্টে সোনাগাজীতে কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিনিধি  জসিম উদ্দিন আহমদ’র সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাবেক সভাপতি জয়নাল আবদীন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শামছুদ্দিন খোকন, উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমির মাও. মোহাম্মদ মোস্তফা, সেক্রেটারি মো: বদরুদ্দৌজা, পৌর আমির মাওলানা কালিমুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাওলানা হিজবুল্লাহ প্রমুখ।

বক্তারা সোনাগাজী-কোম্পানীগঞ্জ সহ ৮টি উপজেলার ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি জোয়ারের লোনা পানি থেকে বাঁচতে ভেঙ্গে যাওয়া মুছাপুর রেগুলেটরি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানান এবং দুর্নীতির মধ্যমে নির্মাণ কাজের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের তৎকালীন কর্মকর্তাদের দায়ী করে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

চর দরবেশের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, নির্মাণের সময় ব্যাপক দুর্নীতি  করা হয়েছিল। যার কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে রেগুলেটরি ভেঙ্গে পড়েছে। বারবার স্থানীয় জনগণের সমালোচনার মুখে তৎকালীন স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে রেগুলেটরি নির্মাণ করা হয়।

সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এবং নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ  উপজেলার সীমানায় ছোট ফেনী নদীর ওপর ২০০৫ থেকে ২০০৯ সালে  ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩ ভোল্টের রেগুলেটরি নির্মাণ করা হয়। সোনাগাজী ও নোয়াখালী এলাকার ১ দশমিক ৩০ লক্ষ হেক্টর জমির ফসলকে লবণাক্ততা থেকে সুরক্ষা এবং জোয়ারের পানি থেকে এ সমস্ত এলাকাকে সুরক্ষার জন্য জনগণের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে মুছাপুর ২৩ দরজা বিশিষ্ট রেগুলেটরি নির্মাণ করা হয়েছিল। সম্প্রতি উজানের পানির ঢলের অতিরিক্ত চাপ থাকায় গত ২৬শে আগস্ট সকালে রেগুলেটরি ভেঙ্গে গিয়ে স্থানীয় জনগণের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।  ইতিমধ্যে কয়েকটি বাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে গেছে।

বিবার্তা/মনির/জবা

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত