মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
উত্তরের কনকনে ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে হাড়কাঁপানো শীত আর ঘণ কুয়াশায় কাঁপছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গার মানুষ। জেলায় আজ শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে অস্বাভাবিকভাবে। গত মঙ্গলবার জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সে তামপাত্রা নামে ১০ ডিগ্রিতে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি সকাল ৬টায় সর্বনিন্ম ডিগ্রি ৯ দশমিক ৪ সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগার। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ১০০ শতাংশ। আর সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৪ শতাংশ। ঘণ কুয়াশার কারণে দৃষ্টি সীমা ৫০০ মিটারের মধ্যে। দিনের বেশীরভাগ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। মধ্য বেলায় অল্প কিছুক্ষণের জন্য রোদ উঠলেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। হাড়কাঁপানো ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা পাওয়া যাবে। জেলার বিভিন্ন এলাকা সুত্রে জানা গেছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ঘণ কুয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচল বেশ দুরূহ হয়ে পড়েছে। সড়ক মহাসড়কে হেডলাইন জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন। দৃষ্টি সীমা ৫০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কেটে যাবে। ইজিবাইক চালিয়ে সংসারের খরচ জোগানো মাসুম বলেন, ঠান্ডায় হাত মনে হছে অবশ হয়ে যাচ্ছে। হ্যান্ডেল ঠিকমত ধরে রাখা যায় না। শীতে লোকজন বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তাই ভাড়া হচ্ছে কম। আবহাওয়া এ রকম থাকলে সংসার চালানোই দায় হবে যাবে। শীত অনুভূত হওয়ায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রাণীরাও চরম বিপাকে পড়েছে। গৃহপালিত ও বাণিজ্যিক খামারে পালিত গরু, ছাগল ও মুরগির রোগবালাইয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষক ও খামারিরা। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, শীতজনিত কারণে প্রনীকুলেও নানা রকম রোগবালাই দেখা দেয়। বিশেষ করে মুরগির রানীক্ষেত, ছাগলের পিপিআর ও গরুর খুরারোগ ছড়িয়ে পড়ে। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তারা বলছেন, জেলায় মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিন এটা অব্যাহত থাকতে পারে। ঘণ কুয়াশা রয়েছে। সবাইকে সাবধানে চলাচলের অনুরোধ করা হচ্ছে। বিবার্তা/সাঈদ/মাসুম
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
জাতীয়
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত