রেলওয়ের ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

| আপডেট :  ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৬  | প্রকাশিত :  ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৬


রেলওয়ের ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

আইন আদালত

বিবার্তা প্রতিবেদক


বাংলাদেশ রেলওয়ের চাকরিতে ১৪তম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেডে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার বিধান সংবিধানের সাথে কেনো সাংঘর্ষিক হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট বিভাগ।

১৪ জুলাই, রবিবার জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামানের আনা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রেলওয়ের সচিব ও আইন সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ২৬ মে এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং পোষ্য কোটা বাতিল চেয়ে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান। রিটের শুনানিও করেন তিনি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি দাশ। রিটে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ তিনজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

তুষার কান্তি দাশ বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়োগে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আইনজীবী রোকনুজ্জামান বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিজেদের স্বার্থে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা নির্ধারণ করে বিধিমালা প্রণয়ন করেছে; যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র ও সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।

তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোনো কোটাই থাকছে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সেই কারণে একজন সচেতন নাগরিক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে আমি সংক্ষুব্ধ। কারণ এভাবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমি আইনি প্রতিকার চাওয়ার জন্য রিট করেছি।

রেলওয়ের ক্যাডার বর্হিভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০২০ এর নিয়োগ পদ্ধতি সংক্রান্ত ৩ বিধির উপবিধি ৩ এ বলা হয়েছে যে উপবিধি (১) ও (২) এ যা কিছু থাকুক না কেন সরাসরি নিয়োগযোগ্য ১৪তম গ্রেড হতে ২০তম গ্রেডের মোট শূন্য পদের শতকরা ৪০ ভাগ পদ যোগ্যতাসম্পন্ন পোষ্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে। এ বিধানটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট বিভাগে রিটটি করা হয়।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত