শহরের থেকে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি

| আপডেট :  ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২১  | প্রকাশিত :  ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:২১


শহরের থেকে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি

অর্থ-বাণিজ্য

বিবার্তা প্রতিবেদক


দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমলেও শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। কিছুটা মজুরি বাড়লেও তুলনায় তা কম।

সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের শেষ মাস গত জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশে নেমে এসেছে। যা মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে সামান্য কমেছে মূল্যস্ফীতির হার।

৭ জুলাই, রবিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে মূল্যস্ফীতির এই চিত্র।

এ বছর জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আগের মাসের চেয়ে সামান্য কমলেও টানা তৃতীয় মাসের মত দুই অংকের ঘরেই রয়েছে।

জুন মাসের খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা মে মাসে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ছিল। এপ্রিলে ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ।

আর খাদ্য বহির্ভূত খাতে জুনে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা মে মাসে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ ছিল।

বিবিএস এর প্রতিবেদন বলছে, মূল্যস্ফীতির কারণে শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষকে ভুগতে হচ্ছে বেশি। জুনে শহর এলাকায় যেখানে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ, গ্রামে এই হার ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

গ্রামাঞ্চলে জুনে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, আর খাদ্য বহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। অন্যদিকে শহর এলাকায় খাদ্য খাতে ১০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত খাতে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে।

রিজার্ভে টান আর বিশ্ববাজারের অস্থিরতার মধ্যে আইএমএফ এর ঋণের শর্ত মেনে সরকারকে ভর্তুকি তুলে নিয়ে ধাপে ধাপে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নীতি সুদহার বাড়ানো এবং সুদের হার বাজারভিত্তিক করার মত কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ, কিন্তু তাতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।

এই কঠিন সময়েও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য ঠিক করেছেন অর্থমন্ত্রী হাসান মাহমুদ আলী।

বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্ছে এবং রাজস্বনীতিতেও সহায়ক নীতিকৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে ফ্যামিলি কার্ড, ওএমএস ইত্যাদি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন ছিল। পদক্ষেপ নিতে দেরি করায় এখন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত