স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ, ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি

| আপডেট :  ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭  | প্রকাশিত :  ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭


স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ, ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি

সারাদেশ

খানসামা দিনাজপুর প্রতিনিধি


“সাবেক মন্ত্রীর সফরের খরচ মেটাতে চাঁদা আদায়” শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সংবাদে উল্লিখিত অভিযোগ তদন্তে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি।

গত ১২ সেপ্টেম্বর এই সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত কমিটি গঠন করে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেয় সিভিল সার্জন কার্যালয়।

এই তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মো. হামদুল্লাহ, কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক) ডা. জাকির হোসেন ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (নাক, কান ও গলা) ডা. শীতল চন্দ্র পাহান।

২১ সেপ্টেম্বর, শনিবার সকালে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসক, নার্স-মিডওয়াইফ, স্যাকমো, ওয়ার্ড বয়, সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য সহকারী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন তদন্ত কমিটি।

এসময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা যাচাই করতে চাঁদা দাবি, বেতন বন্ধ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে ৫টি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে লিখিত জবাব গ্রহণ করে তদন্ত কমিটি।

তদন্তের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মো. হামদুল্লাহ বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই করতে সিভিল সার্জনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লিখিত বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। সেই বক্তব্য সিভিল সার্জন মহোদয়কে পেশ করা হবে। তিনি যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি তদন্তের স্বার্থে এখন কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে অভিযোগ ছিল গত ১৩ জুলাই আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তাঁর এই সফরের খরচ মেটাতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এটিএম ওবায়দুল্লাহ’র বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত চাঁদা না দিলে বেতন আটকিয়ে রাখার ভয় দেখান তিনি। এতে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় নিয়ে ক্ষুব্ধ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিবার্তা/জামান/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত