হিলিতে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন

| আপডেট :  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪২  | প্রকাশিত :  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪২


হিলিতে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন

সারাদেশ

হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি


তৃতীয় বারের মতো দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। পিঠার নানান স্বাদ নিতে দুই দিনের এই পিঠা উৎসবে ছিল সব বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পিঠার সাথে পরিচয় করাতেই এমন আয়োজন বলছেন আয়োজকেরা।

শীত কিংবা গ্রীষ্ম মানেই বাঙালির ঘরে ঘরে মুখরোচক পিঠাপুলির আয়োজন হয়ে থাকে। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের অনেক ঐতিহ্য।

বর্তমানে নানা ধরনের ফাস্ট ফুড খাবারের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক পিঠাপুলি। বাঙালির ঐতিহ্য নানান পিঠাপুলির সাথে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরতেই তৃতীয় বারের মতো দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি উপজেলা ডাঙ্গাপাড়া
মডেল স্কুলে শুরু হয়েছে দুইদিন ব্যাপী পিঠা উৎসব।

৮ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুলের আয়োজনে স্কুল চত্বরে ফিতা কেটে দুই দিনব্যাপি পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাওছার রহমান।

উদ্বোধনের পর থেকেই পিঠা উৎসবে ছিল নানান বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভিড়, স্টলগুলোতে তারা নিচ্ছেন পিঠাপুলির স্বাদ। বিদ্যালয়ে মাঠে প্রতিটি স্টলে ধান সেমাই, ভাপা, পুলি দুধ, পুলি,পাটিসাপটা, ঝিনুক পুলি, জামাই সোহাগী, গোলাপ, কানমুচুরি, পুডিং, পায়রা, তেল পিঠা, দুধ চিতাই, মুঠা পিঠা, ক্ষীর, রসগোল্লা, কেক, গোলাপ ফুল, তেলেভাজা রসপিঠা, রোল পিঠা, লাভ পিঠা, শিম ফুল পিঠা, ডালবড়া, নারিকেল পিঠা, নকশি পিঠা, নয়নতারা পিঠাসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক পিঠার পসরা। ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুল মাঠে ৯ টি স্টলে অর্ধ শতাধিক প্রকারের পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষরা। এমন আয়োজনে খুশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা।

হারিয়ে যাওয়া পিঠাপুলির সাথে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করাতেই এমন আয়োজন করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন স্থানীয় অভিভাবক ও সুধী মহল।

হাকিমপুর ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুল এর পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের সমাজ থেকে পিঠা হারিয়ে যাচ্ছে, পিঠা কি এবং কত ধরনের পিঠা আছে তা তারা জানেই না। এখানে ৯টি স্টলে ৫২ আইটেমের পিঠা তৈরি করা হয়েছে। স্কুলের ছেলে-মেয়েরা এবং স্থানীয় অভিভাবকরা এই পিঠার সাথে পরিচিত হচ্ছে এবং এর স্বাদ গ্রহণ করতে পারছেন। তৃতীয় বারে এই আয়োজন করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি আগামীতে আরও বড় আয়োজনে করা হবে। এতে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া পিঠার ঐতিহ্য ও স্বাদ ফিরে আসবে।

বিবার্তা/রব্বানী/সউদ

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত