হিলিতে সপ্তাহজুড়ে সূর্যের দেখা নেই

| আপডেট :  ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:২৪  | প্রকাশিত :  ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:২৪


হিলিতে সপ্তাহজুড়ে সূর্যের দেখা নেই

হিলি, (দিনাজপুর) প্রতিনিধি


ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর হিলি উপজেলা। কনকনে শীত হিমেল বাতাস আর ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনে ও রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। শুকনো খড় জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে অনেকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমেছে অনেক অংশে। গত এক সপ্তাহজুড়ে সূর্যের দেখা না মেলায় ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে এ এলাকায়।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,  আজ সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ। যা গতকাল একই সময় তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।

দিনের তাপমাত্রা কমে রাতের তাপমাত্রার কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে দিন মজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন কাজে বের হলেও প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে রয়েছে অনেকে।

বিশেষ করে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়েছে পড়েছে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর উপজেলার মানুষগুলো। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় কাজে যেতে না পারায় কষ্টে পড়েছে শ্রমজীবীরা। অপর দিকে স্থানীয় হাসপাতালে বেড়েছে ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু রোগী।

হাকিমপুর উপজেলার আলিহাট ইউনিয়নের চকচকা গ্রামের আব্দুল মজিদ বলেন, আমাদের এলাকায় গত এক সপ্তাহ জুড়ে সূর্যের দেখা নাই। তাই এ এলাকায় কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। হিম বাতাসে ঘর থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। শ্রমজীবী মানুষরা কাজের ঘর থেকে বাহির হতে পাড়ছে না।
উপজেলার কোকতাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নওশাদ আলী বলেন, এ এলাকায় গত এক সপ্তাহ থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। যার ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। প্রচন্ড শীতের কারণে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে অনেক অংশে।

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা গেছে হঠাৎ করে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধর সংখ্যা বেশি। চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকদের।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত রায় জানান, গত কয়েক দিন থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তাই এ উপজেলায় কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলায় শীত নিবারণে ২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ ধরনের কম্বল বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বিবার্তা/রববানী/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত