৪২০ মালবাহী বগি কিনতে ভারতের সঙ্গে ২৩১ কোটি টাকার চুক্তি

| আপডেট :  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:২৭  | প্রকাশিত :  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:২৭

প্রকল্পের মেয়াদ আছে আর ছয় মাস। এই প্রকল্পের অধীনেই আড়াই বছর সময় দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের মালবাহী বগি কেনার চুক্তি হচ্ছে আজ। এ অবস্থায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশনস ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ৪২০টি মালবাহী বগি কিনতে আজ রবিবার রেল ভবনে ভারতীয় কম্পানি হিন্দুস্তান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি সই হওয়ার কথা।

এই প্রকল্পের অধীনে গত ডিসেম্বরে ৩১৮ কোটি ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয়ে চীন থেকে ৫৮০টি ওয়াগন কেনার চুক্তি সই হয়েছিল। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরআরসি কম্পানি থেকে এগুলো বুঝে পেতেও সময় লাগবে ১৮ থেকে ৩০ মাস।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের জুনে নেওয়া এই প্রকল্প শুরু থেকে ধীরগতিতে চলছিল। এখন ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ চুক্তি হয়ে গেলে মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দ্রুত পাস হবে বলে আশা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। ২০১৮ সালের জুনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাস হওয়ার সময় ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ ধরা হয়।

ভারত থেকে কিনতে যাওয়া ৪২০টি ব্রড গেজ লাইনে চলার উপযোগী মালবাহী বগিতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৩১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি এতে অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এসব বগি কিনতে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি ঋণচুক্তি সই হয়েছিল।

ঋণ পাওয়ার এত দিন পর কেন প্রকল্পের মেয়াদ শেষের পথে এসে বগি কেনার চুক্তি হচ্ছে—এ প্রশ্নে প্রকল্প পরিচালক মো. মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, দরপত্র আহবানসহ প্রস্তুতিমূলক কাজ করতেই বেশি সময় লেগে গেছে। তা ছাড়া করোনার কারণেও অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ এখনো আছে; চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, বুয়েটের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, দরপত্রের দীর্ঘসূত্রতার কারণে এমন অনেক প্রকল্প ঝুলে যাচ্ছে। এতে করে প্রকৃত সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে ঋণের সুদের বোঝা।

ভারতের সঙ্গে কেনার চুক্তি হতে যাওয়া ৪২০টি বগির মধ্যে ২৯০টি কভারড, ১১৬টি খোলা ও ১৪টি বগি ব্রেক ভ্যান। একটি বগিদে সর্বোচ্চ সাড়ে ১৮ মেট্রিক টন পণ্য পরিবহন করা যাবে। বগিতে থাকবে এয়ার ব্রেক সিস্টেম।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘চুক্তির পর আগামী ৩০ মাসের মধ্যে আমরা বগিগুলো বুঝে পাব। রেলওয়েতে এসব বগি যুক্ত হলে মালপত্র পরিবহনের সক্ষমতা বাড়বে। ’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত