ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ কোলোরেক্টাল ক্যান্সার

| আপডেট :  ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭  | প্রকাশিত :  ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭


ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ কোলোরেক্টাল ক্যান্সার

স্বাস্থ্য

বিবার্তা প্রতিবেদক


দেশে আশঙ্কাজনক হারে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বাড়ছে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, শুধু বাংলাদেশই নয়, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো এই কোলোরেক্টাল ক্যান্সার। এই অবস্থায় রোগীদের আরও সচেতনতার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এভারকেয়ার হসপিটালে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ‘কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম’ নামে একটি বিশেষ পেসেন্ট ফোরামের আয়োজন অনুষ্ঠানে বক্তারা এ আশঙ্কার কথা জানান।

অনুষ্ঠানে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এবং ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াকু সাহসী রোগীরা তাদের নিজেদের অনুপ্রেরণামূলক গল্পগুলো সবার সামনে উপস্থাপন করেন। এছাড়া, বিশেষজ্ঞরা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকির কারণ, স্ক্রিনিং নির্দেশিকা এবং চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর বিশেষ জোর দেন।

এসময় গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং হেপাটোলজি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর এবং সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. লুৎফুল এল চৌধুরী নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল বজায় রাখার বিষয়ে জোর দেন। তিনি বলেন, একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট হিসেবে আমরা কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করি। নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে ক্যান্সার ভয়াবহ আকার ধারনের আগেই তা শনাক্ত ও প্রতিরোধ করা সম্ভব।

তিনি বলেন, আমি মনে করি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইতে সচেতনতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। আমাদের উচিৎ ক্যান্সার নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে সচেতন হওয়া এবং নিয়মিত স্ক্রিনিং ও স্বাস্থ্যসম্মত লাইফস্টাইল বজায় রাখা। আমাদের মনে রাখা উচিত যে উপযুক্ত জ্ঞান হলো প্রতিরোধের অন্যতম ভিত্তি।

মেডিকেল অনকোলজির কোঅর্ডিনেটর ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ফেরদৌস শাহরিয়ার সাইদ বলেন, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার মোকাবিলায় রোগীদের সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি যথাযোগ্য চিকিৎসার ধাপগুলো নিশ্চিত করতে আমরা স্বচেষ্ট। তবে সাধারণ মানুষকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

এভারকেয়ার হসপিটাল, বাংলাদেশের সিইও ও এমডি ডা. রত্নদীপ চাষ্কার বলেন, এভারকেয়ার হসপিটালের মূল লক্ষ্য স্বাস্থ্যজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে ভূমিকা রাখা। আমাদের দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকমণ্ডলী গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলো চিহ্নিতকরণ, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে।

এসময় হাসপাতালটির মেডিকেল সার্ভিসেসের পরিচালক ডা. আরিফ মাহমুদ বলেন, কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উন্নত স্বাস্থ্যসেবার প্রচার এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি রোগীকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও সহায়তায় এভারকেয়ার হসপিটাল সর্বদা স্বচেষ্ট।

আয়োজিত এই পেসেন্ট ফোরামে বিশেষজ্ঞরা কোলোরেক্টাল ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রতিরোধ ও প্রতিকারের পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে মতবিনিময় করেন। দেশের প্রথম জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) স্বীকৃতি পাওয়া এভারকেয়ার হসপিটালের জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে অঙ্গীকারগুলোসহ ক্যান্সার মোকাবিলায় দক্ষতা ও রোগীদের স্বাস্থ্য উন্নতি প্রদর্শনে এ ফোরামটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

অনুষ্ঠানটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও হেপাটোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ইকবাল মুর্শেদ কবির, সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর ডা. শায়লা পারভীন, চিফ মার্কেটিং অফিসার ভিনয় কাউলসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

বিবার্তা/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত