স্ত্রী দেবেন কিডনি, দরকার আরও ১০ লাখ

| আপডেট :  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৬:৫৮  | প্রকাশিত :  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৬:৫৮

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সুনারু গ্রামের শিক্ষানবিশ আইনজীবী রাজেশ কুমার দাশ। এলএলবি পাস করার পূর্বে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে জামানো টাকা দিয়ে আড়াই বছর আগে বিয়ে করেন নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার ডালিয়া রানী রায়কে। বিয়ের পর সুখেই চলছিল তাঁদের সংসার। আইনজীবীর সনদ পাওয়ার পর হবিগঞ্জ শহরে স্ত্রীকে নিয়ে বাসা ভাড়া করবেন, সংসার সাজাবেন এই স্বপ্ন দেখছিলেন রাজেশ।

কিন্তু অল্প বয়সেই দুটি কিডনি বিকল হওয়ায় এখন দিশাহারা অবস্থা তাঁর। আর্থিক সংগতি না থাকায় এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা যখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তখন স্বামীকে বাঁচাতে একটি কিডনি দান করার ঘোষণা দিয়েছেন স্ত্রী ডালিয়া। কিন্তু কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। যা সংস্থান করা সম্ভব হচ্ছে না রাজেশের। এ ব্যাপারে তিনি সমাজের বিত্তবান লোকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।

রাজেশ বলেন, ‘সুনারু গ্রামে আমার শুধু একটি বাড়ি আছে। ৩০ বিঘা পৈতৃক জমি বর্গা দেওয়া হয়েছে। মা জীবিত নেই এবং বাবা রতিশ দাশ অসুস্থ। পাঁচ বোনের মাঝে এখনো দুজনের বিয়ে দিতে বাকি। ছোট ভাই কাতারে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে যে টাকা পায় তা দিয়েই কষ্ট করে চলছে সংসার। শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করলেও পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করা দুরূহ ব্যাপার। এরই মাঝে ঋণ করে হবিগঞ্জ ও ঢাকায় বড় বড় ডাক্তারের কাছে গেলে সবাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেছেন দুটি কিডনিই বিকল।

ডাক্তাররা কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের পরামর্শ দেন। কিন্তু যদি দাতা পাওয়া যায় তাহলে একটি কিডনির দাম পড়বে ১০ লাখ টাকা। ট্রান্সপ্লান্ট ও চিকিৎসার জন্য আরো ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। আমার স্ত্রীর টিস্যু পরীক্ষার পর ডাক্তার বলছেন তার কিডনি আমাকে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। আমার স্ত্রীও কিডনি দিতে প্রস্তুত।

কিন্তু চিকিৎসা ব্যয় পাব কোথায়? সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে হয়তো আমি ও আমার স্ত্রীর জীবনে হাসি ফুটতে পারে। ‘ রাজেশকে সহযোগিতার জন্য বিকাশ নম্বর ০১৭৪১২৯৯১৬৯।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত