সেন্টমার্টিন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কাফন পরে সড়ক অবরোধ
সরকার ঘোষিত সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও রাত্রিযাপন সীমিতকরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোন কলাতলিতে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। এতে নারী ও শিশুরাও সড়ক অবরোধের কারণে কলাতলির প্রধান সড়ক ও মেরিনড্রাইভ সড়কে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ করে অবরোধ করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুই সহস্রাধিক মানুষ কলাতলির ডলফিন মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। দুপুর সোয়া ১টার পর্যন্ত তাদের সড়ক অবরোধ অব্যাহত থাকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও রাত্রিযাপন সীমিতকরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার সম্বলিত বিভিন্ন স্লোগানের ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে কলাতরির প্রধান সড়কের ডলফিন মোড় ও আশপাশের স্থানে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। কেউ কাফনের কাপড় পড়ে সড়কে শুয়ে পড়েছে। কেউ বসে ও দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আবার কেউ বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ মিছিল করছে।
আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল মালেক জানান, এই আন্দোলনে অংশ নিতে সেন্টমার্টিন থেকে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু এসেছে। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন স্তরের মানুষও এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা সেন্টমার্টিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও রাত্রিযাপন সীমিতকরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সরবে না। প্রয়োজনে মরবে।
সড়ক অবরোধের কারণে কলাতলীর প্রধান সড়ক ও মেরিনড্রাইভ সড়কে সবধরনের যান চলাচল পুরো বন্ধ রয়েছে। সেনাবাহিনী এক দল ও পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করে ও সড়ক অবরোধ তুলে নিতে আহ্বান জানান। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাদের আহ্বান গ্রাহ্য করেনি।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, ছাত্রছাত্রী, দিনমজুর, কুলি, শ্রমিক, মৎস্যজীবী, চাকরিজীবী, তরুণ উদ্যোক্তা, পর্যটন ব্যবসায়ী, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী, হোটেল-রিসোর্ট মালিকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের প্রবল আপত্তি অগ্রাহ্য করে সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা এবং রাত্রিযাপন ও পর্যটক যাতায়াত সীমিত করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ফলে ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জীবন ও জীবিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে আর্থিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা তাদের পড়ালেখা ও ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত। তাই বাধ্য হয়ে তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরানোর জন্য শান্তিপূর্ণ আলোচনা চলছে। এখনো যানচলাচল স্বাভাবিক হয়নি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত