সেন্টমার্টিনে রাতযাপন নিষিদ্ধ করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

| আপডেট :  ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৯  | প্রকাশিত :  ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৯

সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক সীমিত ও রাতযাপন নিষিদ্ধ না করে ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা ও পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন দ্বীপবাসী ও পর্যটক সংশ্লিষ্ট বেসরকারি খাতের অংশীজনরা। সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে আলোচনা না করে সরকার পর্যটক সীমিত করার একতরফা সিদ্ধান্ত নিলে কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন ১৩টি সংগঠন।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানায় সংগঠনগুলো।

এ সময় তারা পর্যটন শিল্প সম্প্রসারণ ও দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে পর্যটনশিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান, সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সদস্য শিবলুল আজম কোরেশী, সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা উন্নয়ন জোটের প্রচার সম্পাদক ও সিনবাদ ইকো রিসোর্ট এক্সপেরিয়েন্ট অ্যান্ড বিয়ন্ডের স্বত্বাধিকারী মো. হাবিবুর রহমান, টোয়াব পরিচালক ইউনুস আলী, সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নূরুল আলমসহ সেন্টমার্টিনের জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। 

টোয়াব প্রেসিডেন্ট বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ আমাদের দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। প্রতি বছর হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক এ দ্বীপে ভ্রমণ করে এবং রাতে অবস্থান করে এর সৌন্দর্য উপভোগ করে। দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট সেন্টমার্টিনকে ঘিরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। 

শিবলুল আজম কোরেশী বলেন, সেন্টমার্টিনে অক্টোবরের শুরু থেকে মার্চ পর্যন্ত জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। এ দ্বীপ বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বীপবাসী এবং সব স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তিনি সেন্টমার্টিন বিষয়ে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের গৃহীত সব দেশবিরোধী ও পর্যটনবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি করেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক সীমিত এবং রাতযাপন নিষিদ্ধ করলে হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উন্নয়নমুখী জীবনের ধারা বিপর্যস্ত হবে। এতে মানবিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দ্বীপবাসীর জীবন-জীবিকা রক্ষার স্বার্থে দ্বীপের সব পর্যটন স্থাপনাকে অপসারণের পরিবর্তে পর্যটনশিল্পকে চলমান রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

টোয়াব পরিচালক ইউনুস আলী পর্যটকদের সুবিধার্থে বিনিয়োগ বাড়ানো, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানসম্মত সাপোর্ট সার্ভিস এবং দেশে-বিদেশে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর জন্য আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের ব্যানারে ই-ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ট্যাব), সেন্টমার্টিন দোকান মালিক সমিতি, সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতি, বোট মালিক সমবায় সমিতি, মৎস্যজীবী মালিক সমিতি, বাংলাদেশ স্লিপার এসি বাস মালিক সমিতি, জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশেসহ ১৩টি সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত