বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন রাহমান পুত্র এবং মোহিনী
এআর রাহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানুর ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার বিষয়টি ভক্তমহলকে বেশ চমকে দেয়। এ বিষয়ে তাদের সন্তানরা সবার কাছে তাদের পারিবারিক ডিসিশনের প্রতি সম্মান রাখতে বলেন এবং তার পরিবারের বিষয়টি নিয়ে কাউকে অতি উৎসাহিত না হতে অনুরোধ করেছেন।
কিন্তু বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয় এআর রাহমানের ব্যান্ডের বেজিস্ট মোহিনী দে যখন একই দিনে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এরপরই ভক্তমহলে আলোচনা-সমালোচনা হতে থাকে মোহিনী এবং এআর রাহমানকে ঘিরে।
যদিও তাদের আইনজীবীরা তাদের দুজনের বিচ্ছেদের বিষয়ে এ সপ্তাহের শুরুতে এই বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য রেখেছিলেন এবং শুক্রবার (২২ নভেম্বর) মহিনী দে তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি নোট শেয়ার করে এ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
তিনি লিখেছেন, আমি অসংখ্য সাক্ষাৎকারের অনুরোধ পাচ্ছি এবং আমি জানি এটা কী নিয়ে, তাই আমাকে বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যেকটি সাক্ষাৎকারের অনুরোধ ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে কারণ আমি একেবারে অযথা গুজবে কথা বলতে আগ্রহী নই। আমি বিশ্বাস করি আমার শক্তি গুজবের পেছনে ব্যয় করার মতো নয়। দয়া করে আমার গোপনীয়তাকে সম্মান করুন।
এদিকে এআর রাহমানের ছেলে এ আর আমীনও এই গুজব নিয়ে তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, আমার বাবা একজন কিংবদন্তি তিনি শুধু তার অসাধারণ অবদানের জন্য নয়, বরং তিনি যে মূল্যবোধ, সম্মান এবং ভালোবাসা অর্জন করেছেন তার জন্য তিনি সেরা। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা যখন কারও জীবন ও উত্তরাধিকার নিয়ে কথা বলি, তখন সেটা কতটুকু সত্য ও অসম্মানের সেটা স্মরণ করি না। দয়া করে এমন গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। আসুন আমরা তার মর্যাদা রক্ষা করি এবং তার ডিসিশনের প্রতি সম্মান জানাই।
এআর রাহমানের আইনজীবীরাও এ গুজব নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। তারা ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে বলেছেন, এআর রাহমান এবং মোহিনী দের বিচ্ছেদের বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা দুটি বিষয়। সাইরা এবং রাহমান নিজেরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভারতের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ও সংগীত পরিচালক এআর রাহমান। তার ঝুলিতে আছে অস্কার ও গ্র্যামির মতো অ্যাওয়ার্ড। ১৯৯৫ সালে এআর রাহমান ও সায়রা বানুর বিবাহ হয়। তাদের ঘরে রয়েছে তিন সন্তান– খাদিজা, রাহিমা ও আমিন। তাদের বড় মেয়ে খাদিজা ২০২২ সালে বিয়ে করেছেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত