আলেপ্পো শহর বিদ্রোহীদের দখলে, আসাদ সরকারের বিপর্যয়

| আপডেট :  ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪  | প্রকাশিত :  ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪

আট বছর পর সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো আবার বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেছে। ২০১৬ সালে সরকারি বাহিনী পুনরুদ্ধারের পর এটি ছিল প্রথমবারের মতো বিদ্রোহীদের শহরে প্রবেশ। 

শনিবার (৩০ নভেম্বর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এতে বলা হয়, আকস্মিক আক্রমণের তিন দিন পর, বিদ্রোহীরা শহরের বেশির ভাগ এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এই সংঘর্ষে বেশ কয়েক ডজন সরকারি সেনা ও বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর বিদ্রোহী বাহিনী শহরের বাইরের গ্রামে আক্রমণ চালায়, যার ফলে দীর্ঘদিন স্তিমিত থাকা সংঘাত পুনরায় উত্থিত হয়। কট্টর ইসলামপন্থি সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বে এই আক্রমণ পরিচালিত হয়। সিরিয়ার সরকারি বাহিনী জানায়, তারা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিদ্রোহী যোদ্ধারা আলেপ্পো শহরের কেন্দ্রে সিরিয়ার সরকারবিরোধী পতাকা উত্তোলন করছে এবং ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিচ্ছে। এর ফলে শহরে উত্তেজনা বেড়ে গেছে এবং সরকারি বাহিনী বেশকিছু এলাকা থেকে নিজেদের অবস্থান সরিয়ে নিয়েছে।

এদিকে সিরিয়ার সরকার জানায়, তারা বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে। তবে বিদ্রোহী বাহিনীর অব্যাহত অগ্রগতির ফলে সরকারি বাহিনী কিছুটা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাবর্ষণের কারণে চারজন নিহত হয়েছেন, যদিও বিদ্রোহীরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আরেকটি বিমান হামলায় শিশু ও নারীদের মধ্যে ১৫ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

এই পরিস্থিতি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে এবং ইতোমধ্যে ইরান ও রাশিয়ার সহযোগিতায় সরকারের পাল্টা হামলা চলছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত