সাভারে দাফন করা ব্যক্তিই হারিছ চৌধুরী : হাইকোর্টে প্রতিবেদন

| আপডেট :  ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯  | প্রকাশিত :  ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯

বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিয়ে দীর্ঘদিনের জটিলতা ও ধোঁয়াশা কেটেছে। সাভারে দাফন করা ব্যক্তিই হারিছ চৌধুরী। পরিবারের সঙ্গে তার ডিএনএ মিলে গেছে। ফলে পরিবারের সদস্যরা  এখন পছন্দমতো জায়গায় লাশ দাফন করতে পারবেন। 

হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত সিআইডির প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। পরে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চে সিআইডির প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর সাভারের মাদ্রাসা কবরস্থানে দাফন করা আবুল হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে হাইকোর্ট সিআইডিকে ডিএনএ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান নামে দাফন হওয়া হারিছ চৌধুরীর মরদেহের ডিএনএ তার পরিবারের সঙ্গে মিলে গেছে।

এর আগে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন তার বাবার পরিচয় নিশ্চিত করতে গত সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ তুলে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।

২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরী ‘মাহমুদুর রহমান’ নামে সাভারের একটি মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন হন।

হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ আমাদের বাবার মৃত্যু নিয়ে নাটক তৈরি করেছে। মিডিয়া একটার পর একটা রিপোর্ট করেছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক ছিল। মানুষের প্রশ্নে আমাদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। তাই আমরা আদালতের কাছে গিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করতে চেয়েছিলাম।

এছাড়া, ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর হারিছ চৌধুরী সিলেটে তার গ্রামের বাড়ি চলে যান। সেখানে তিনি কয়েক দিন গোপনে থাকেন, পরবর্তীতে ভারতের করিমগঞ্জে চলে যান।

এখন, আদালতের নির্দেশে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ তার পরিবারের ইচ্ছেমতো দাফন করা যাবে এবং তার মৃত্যুর বিষয়ে সব সন্দেহ ও জল্পনার অবসান ঘটল।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত