ইউআইইউ’র লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া
দেশে শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার জন্য বিদেশ চলে যায়। আবার অনেকে চিন্তা করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার অনেক খরচ। এসব কথা চিন্তা করে অনেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে না। উচ্চ শিক্ষায় বিদেশমুখীনতা কমাতে এবং দেশের মানুষের আর্থিক সাশ্রয়ের কথা চিন্তা করে যাত্রা শুরু করে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে কিছু বিদ্যানুরাগী শিল্পপতি ও প্রথিতযশা শিক্ষাবিদের উদ্যোগে ইউনাইটেড গ্রুপের আর্থিক আনুকূল্যে ২০০৩ সালের অক্টোবর মাসে মাত্র ৭৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) পথ চলা শুরু। ইউআইইউ’র লক্ষ্য বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা।
দেশী ও আন্তজার্তিক স্বীকৃতি :
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে ইউআইইউ। শুরু থেকেই ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ভিন্ন ধারায় ও স্বতন্ত্র মাত্রায় দেশের উচ্চ শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছে। ইউআইইউ ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি এশিয়া র্যাংঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মধ্যে অন্যতম শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংঙ্কিংস ২০২৪ -এ বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মধ্যে ৩য় এবং সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৫ম স্থান অর্জন করেছে।
দ্যা ইমপ্যাক্ট র্যাংঙ্কিংস-এ ২০২০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এসডিজি-১ ক্যাটাগরিতে স্থান করে নিয়েছে এবং ২০২৩-এ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মধ্যে ২য় স্থান অর্জন করেছে। ইউআইইউয়ের বিজনেস স্কুল বিশ্বখ্যাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ‘এসিবিএসপি’ কর্তৃক স্বীকৃত বা অ্যাক্রেডিটেড, বাংলাদেশে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ইউআইইউ বিনা শর্তে ১০ বছরের জন্যে এই স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এ ছাড়াও বিবিএ ইন এআইএস ডিপার্টমেন্ট ‘অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্ট্যান্টস (এসিসিএ)’ কর্তৃক স্বীকৃত বা অ্যাক্রেডিটেড। ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) কর্তৃক স্বীকৃত বা অ্যাক্রেডিটেড।
গুরুত্বপূর্ণ অর্জন সমূহ :
ইউআইইউ প্রতিষ্ঠার পর থেকে গবেষণা, খেলাধুলা, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ আরও বিভিন্ন সেক্টরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছে। যার মধ্যে অন্যতম পুরস্কারগুলো হচ্ছে- ইউআইইউ সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ’র জাতিসংঘ মোমেন্টাম ফর চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড- ২০১৬, ইন্টার সোলার আওয়ার্ড- ২০১৬, সেরা উদ্ভাবনী পুরস্কার- ২০১৬ এবং অদম্য বাংলাদেশ পুরস্কার- ২০১৬ ইত্যাদি।
ইউআইইউ এইমস ল্যাবের ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২২, সিডস্টারস আয়োজিত গ্লোবাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড- ২০১৮, ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড- ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি আওয়ার্ড (এপিকটা)- ২০১৭ ইত্যাদি।
সম্প্রতি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘ইউআইইউ মার্স রোভার টিম’ তুরকিয়ের আঙ্কারায় অনুষ্ঠিতব্য আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জ ২০২৩ প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জন করেছে। এ বছরই যুক্তরাষ্ট্রের ইউটার হ্যাঙ্কসভিলে অনুষ্ঠাতব্য ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জ (ইউআরসি) ২০২৪ প্রতিযোগিতায় ইউআইইউ মার্স রোভার টিম এশিয়ায় ১ম স্থান এবং বিশ্বের সর্বমোট ৩৮টি দলের মধ্যে ৫ম স্থান অর্জন করেছে। এ ছাড়াও গত বছর ইউআরসি ২০২৩ প্রতিযোগিতায় ইউআইইউ মার্স রোভার টিম এশিয়ায় ১ম স্থান এবং বিশ্বের সর্বমোট ৩৭টি দলের মধ্যে ৯ম স্থান অর্জন এবং ইউআরসি ২০২২ প্রতিযোগিতায় এশিয়ায় ১ম এবং বিশ্বের সর্বমোট ৩৬টি দলের মধ্যে ১৩তম স্থান অর্জন অর্জন করেছিল।
সম্প্রতি ইউআইইউ ডিবেট ক্লাব (ইউআইইউডিসি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠাতব্য ‘জাগুক তরুণ, বাচুক পরিবেশ’ শীর্ষক জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ ছাড়াও গত বছর ইউআইইউ ডিবেট ক্লাব অকো-টেক্স প্রেজেন্টস ‘বুটেক্স ন্যাশনাল ডিবেট ফেস্টিভেল ২০২২’ -এ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বাংলা বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন এবং শহীদ ড. শামসুজ্জোহা মেমোরিয়াল ৬ষ্ঠ গোল্ড বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিবেট ফেস্ট ২০২২ -এ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত :
ঢাকা সিটির মাদানী এভিনিউস্থ ইউনাইটেড সিটিতে সবুজে ঘেরা সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস। এখানে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো থেকে ক্যাম্পাসে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের ট্রান্সপোর্টের সুবিধা আছে। ইউআইইউর দক্ষ এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পাঠদান, আন্তরিক প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট। ইউআইইউতে শতভাগ পূর্ণকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকার মাধ্যমে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামসমূহ পরিচালনা করা হয়। সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলোতে দেশের প্রথিতযশা স্বল্প সংখ্যক খণ্ডকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকা পাঠদান করে থাকেন। তারা সবসময় পড়াশোনাসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ প্রদান করে থাকেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি ট্রাইমেস্টারে মেধা ভিত্তিক ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীদেরকে ২৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। সারা বছরব্যাপী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে ১৬টি ক্লাব ও ১৫টি ফোরাম কাজ করে যাচ্ছে।
এক ক্যাম্পাসে সব সুবিধা :
ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের ক্লাশের ফাঁকে বা অবসরে পড়াশোনার জন্য রয়েছে একটি সুবিশাল লাইব্রেরি। রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের মাল্টিমিডিয়া শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ১০০টি স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ। ভবনের সামনেই আছে সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ১৮ বিঘা একটি খেলার সবুজ মাঠ। আরও আছে বিশাল আকারের ২টি অডিটোরিয়াম ও একটি ১টি মাল্টিপারপাস হল। যেখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের কনফারেন্স, সেমিনারসহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে। এ ছাড়াও রয়েছে একটি আধুনিক জিমনেসিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া এবং নামাজ কক্ষ। হাতে কলমে শিক্ষাদানের জন্য ইউআইইউতে সার্কিট ল্যাব, মেশিন অ্যান্ড পাওয়ার সিস্টেম ল্যাব, ডিজিটাল ডিজাইন ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব, মাইক্রোপ্রসেসর ল্যাব, হাইড্রোলিক্স ল্যাব, সার্ভেয়িং ল্যাব, এস এম ল্যাব ও ইলেকট্রনিকস ল্যাবসহ ৬০টিরও অধিক ল্যাব রয়েছে।
যেসব বিষয় পড়ানো হয় :
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) চারটি স্কুলের মাধমে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ানো হয়। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামগুলো হচ্ছে- বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন ডেটা সায়েন্স, বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যাচেলর অফ ফার্মেসি, ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ), বিবিএ ইন এআইএস (একাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম), ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন ইকোনমিক্স, বিএসএস ইন মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম (এমএসজে), বিএসএস ইন এনভারমেন্ট অ্যান্ড ডেভালপমেন্ট স্ট্যাডিস (ইডিএস), বিএ ইন ইংরেজি, ব্যাচেলর অব ফার্মেসি এবং ব্যাচেলর অফ সায়েন্স ইন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামগুলো হচ্ছে- মাস্টার অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ), এক্সিকিউটিভ এমবিএ, এমএস ইন ইকোনমিক্স, মাস্টার ইন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (এমডিএস), এমএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। এ ছাড়া সিসকো নেটওয়াকিং একাডেমি, সিডিআইপি, আইবিইআর, সিইআর, ও পিইটিএয়ের মাধ্যমে এখানে বেশ কয়েটি ডিপ্লোমা ও শর্ট কোর্স পরিচালনা করা হয়।
ভর্তির প্রক্রিয়া :
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ইউজিসির ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয় এবং ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হতে হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে ন্যূনতম ২.৫ সিজিপি পাওয়া শিক্ষার্থীদের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য ফরম সংগ্রহ করতে পারেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া এবং ইংলিশ মিডিয়াম ‘ও’ লেভেলে নূন্যতম ২.৫ এবং ‘এ’ লেভেলে ন্যূনতম ২ থাকা সাপেক্ষে যদি কোনো শিক্ষার্থীর ‘ও’ লেভেলে চারটি ‘এ’ থাকে তাহলে সরাসরি ভর্তি হতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনলাইনে অথবা অফলাইনে আবেদন ফরম নিতে পারে এবং ভর্তি প্রক্রিয়াটি অফলাইন বা অনলাইনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করতে পারে।
গবেষণা :
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং প্রাথমিকভাবে তার গবেষণা কার্যক্রম এবং আউটকাম বেসড এডুকেশনের উপর নির্ভর করে। ইউআইইউ ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চ (আইএআর) স্ক্যলারদের সহযোগিতা ও অনুপ্রেরনায় দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন কোলাবরেশনের মাধ্যমে একাডেমিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রি একত্রে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৪৫টি জাতীয় এবং ৪৯টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ৮৫টিরও বেশি গবেষণা প্রকল্পে অর্থায়নসহ কাজ করেছে। গত ৩ বছরে আইএআর অর্থায়িত প্রকল্পগুলি থেকে আন্তর্জাতিক জার্নালে ১০০টিরও বেশি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ইউআইইউ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রতি বছর ৩ কোটি টাকা প্রদান করে। শিক্ষার্থীদের প্রতি গবেষণা প্রত্রের জন্য ১৫,০০০ টাকা এবং শিক্ষকদের ৫০,০০০ টাকা ইনসেনটিভ প্রদান করে থাকে।
স্কলারশীপ বা বিশেষ সুযোগ সুবিধাসমূহ :
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ বা বিশেষ সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গোল্ডেন ৫ প্রাপ্তদের ৫০ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড়ের ব্যবস্থা। এ জন্য নূন্যতম ‘ও’ লেভেলে ৪টি ‘এ’ থাকতে হবে আর ১০০ শতাংশ এর জন্য ‘ও’ লেভেলে ৫টি ‘এ’ আর ‘এ’ লেভেলে ১টি ‘এ’ ও ১টি ‘বি’ থাকতে হবে। এ ছাড়া প্রতি ট্রাইমিস্টার ফাইনাল রেজাল্ট-এর ওপর ভিত্তি করে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীদেরকে ২৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। মোট শিক্ষার্থীর শতকরা ৩ শতাংশ হারে মুক্তিযোদ্ধা সন্তাদের ফ্রি পড়ার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও এখানে ভাই-বোন, উপজাতীয় কোটা, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য টিউশন ফি ছাড়ের ব্যবস্থা আছে। মোট ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীর ৩% হারে মেধাবী ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরীব ছাত্র-ছাত্রীর জন্য ১০০% ছাড়ের ব্যবস্থ রয়েছে। এ ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীরা ৪টি কিস্তির মাধ্যমে টিউশন ফি জমা দিতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সুদ মুক্ত ঋণের ব্যবস্থা আছে।
এ ছাড়াও ইউআইইউ-তে সিবলিং বা সহোদর-সহদোরা কোটায় ভর্তি হলে ২৫ ভাগ স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে। এই সুবিধা আমাদের প্রাক্তন (অ্যালামনাই) শিক্ষার্থীদের ভাইবোনদের জন্যও প্রযোজ্য। আবার চাকরিরত অবস্থায় কেউ যদি মার্স্টাস প্রোগ্রামগুলোতে সহকর্মীকে নিয়ে আসেন, তাহলে উভয়েই ২৫ ভাগ ছাড় পাবেন। এ ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাইরে আলাদাভাবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা রয়েছে। অর্থ্যাৎ ইউআইইউ-এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যই হলো, সমাজে পিছিয়ে পড়াদের সামনে নিয়ে আসা। আমি মনে করি, জাতি কিংবা এ দেশের সন্তান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো বঞ্চিতদের সুবিধা দিয়ে এগিয়ে আনা।
ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা :
ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারে। ইউআইইউয়ের সঙ্গে আমেরিকা, কানাডা, ইউকে, জাপান, পর্তুগাল, মালয়েশিয়া থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাডেমিক কোলাবরেশন আছে। এগুলোর মধ্যে টেক্সাস এএন্ডএম বিশ্ববিদ্যালয় কিংসভিল – ইউএসএ, মিনেসোটা ক্রুকস্টন বিশ্ববিদ্যালয়- ইউএসএ, ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় – ইউকে, নিউ ব্রান্সউইচ বিশ্ববিদ্যালয় – কানাডা, ওয়াকানাই হোসুসি গাকুয়েন বিশ্ববিদ্যালয় – জাপান, পোর্তো বিশ্ববিদ্যালয় – পর্তুগাল, ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পাহাং – মালয়েশিয়া, চৌধুরী বানসী লাল বিশ্ববিদ্যালয় – ভারত অন্যতম। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে স্টুডেন্ট এক্সচেইনজ প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী :
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমান প্রায় ১০,০০০ ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনা করছে। এখানে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তোলা হয়। এজন্য ইউআইইউতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত বিশ্ব স্বীকৃত আনুপাতিক হার মেনে চলা হয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান। ইউআইইউর দক্ষ এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পাঠদান, আন্তরিক প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট। ইউআইইউতে শতভাগ পূর্ণকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকার মাধ্যমে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামসমূহ পরিচালনা করা হয়। সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলোতে দেশের প্রথিতযশা স্বল্প সংখ্যক খণ্ডকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকা পাঠদান করে থাকেন। অত্যন্ত স্বছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুধুমাত্র অত্যন্ত মেধাবীরাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। তারা সবসময় পড়াশোনাসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ প্রদান করে থাকেন। ইউআইইউ একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। শিক্ষার্থীদের প্রতি গবেষণাপত্রের জন্য ১৫,০০০ টাকা এবং শিক্ষকদের ৫০,০০০ টাকা ইনসেনটিভ প্রদান করে থাকে এবং পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য শিক্ষাছুটিসহ দুই বছরের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ আর্থিক সহায়তা দেয়।
কো-কারিকুলাম এ্যাক্টিভিটিস :
ইউআইইতে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি কো-কারিকুলামের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। সারা বছরব্যাপী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে ১৪টি ক্লাব ও ১০টি ফোরাম কাজ করে যাচ্ছে। এসব ক্লাব ও ফোরামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কর্মজীবন শুরুর জন্য বিভিন্ন কর্পোরেট বা ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টদেরকে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়। সিভি রাইটিং, মক ইন্টারভিউ, কেস স্টাডি এবং সফট্ স্কিলস যেমন- কমিউনিকেশন স্কিল, নেগোসিয়েশন স্কিল এবং প্রব্লেম স্লভিং স্কিলসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্রে ক্লাব ও ফোরামগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভর্তি ফি বা খরচ :
ইউআইইউতে আন্ডার গ্রাজুয়েট এবং গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামগুলোতে পড়তে খরচের বিস্তারিত http://www.uiu.ac.bd/admission/tuition-fees-payment-policies/tuition-fees-waiver/ এই লিংকে পাওয়া যাবে।
ঠিকানা : ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ইউনাইটেড সিটি, মাদানী এভিনিউ, ঢাকা ১২১২। ফোন: +৮৮ ০৯৬০৪-৮৪৮-৮৪৮। ওয়েবসাইট : www.uiu.ac.bd
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত