ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শাবিপ্রবিতে ভর্তি শুরু

| আপডেট :  ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫০  | প্রকাশিত :  ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫০

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) পঞ্চমবারের মতো ডোপ টেস্টের মাধ্যমে প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত ভর্তি শুরু হয়। ‘এ’ ইউনিটে ১২৫০ শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত ভর্তির জন্য ডাকা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) ও সি ইউনিটের (বাণিজ্য) শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া হবে।

শাবিপ্রবি ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. রেজা সেলিম কালবেলাকে বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে পূর্বে যাদের রক্তের গ্রুপ জানা নেই, তাদের রক্তের গ্রুপও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ডোপ টেস্ট করে সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল দেওয়া হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৪০ শিক্ষার্থীর ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। তবে কারও পজেটিভ হয়নি।

বিএমবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লা আল সোয়েব বলেন, ডোপ টেস্টের চারটি ক্যাটাগরি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বেনজুডাইয়াজিপাইন অন্তর্ভুক্ত স্লিপিং ফিল, মারিজুয়ানা (গাঁজা), ইয়াবা ও আফিম। স্লিপিং ফিলের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী গ্রহণ করা হলে তা গ্রাহ্য করা হচ্ছে। তবে তা মাত্রাতিরিক্ত হলে ওই শিক্ষার্থীর তথ্যগুলো আমরা কাউন্সিল টিম ও সংশ্লিষ্ট বিভাগে পৌঁছে দিব। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীকে কাউন্সিলিংয়ে রাখবেন তারা। অথবা পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আবু সাঈদ আরফিন খান বলেন, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি সম্পন্ন হচ্ছে। এতে ৭টি স্তরে শিক্ষার্থীদের ভর্তি সম্পন্ন হচ্ছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থী রক্ত পরীক্ষা, ডোপ টেস্ট, স্বাক্ষর যাচাই, তথ্য যাচাই ও রেজিস্ট্রেশন প্রদান, ভর্তি ফি গ্রহণ, চূড়ান্ত রেজিস্ট্রশন যাচাই, হল সংযুক্তি প্রদান ও হলের আসন বণ্টনের আবেদন নেওয়া হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় প্রতিঘণ্টায় ১০০ জনের বেশি শিক্ষার্থীর ভর্তি সম্পন্ন হচ্ছে।

সঞ্চালনের ব্লাড কো-অর্ডিনেটর মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, সকাল থেকেই আমরা ভর্তি হতে আসসা শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করছি। প্রতিবছরেই ভর্তির সময় সংগঠন এ সেবা দিয়ে থাকে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) শাবিপ্রবি প্লাটুনের সদস্যরা শিক্ষার্থীদেরকে সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করছেন।

সদ্য ভর্তি হওয়া সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আকিল হোসেন বলেন, ভোগান্তি নেই, সবকিছুই এক জায়গায় হওয়াতে আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ দেখেও খুবই ভালো লাগছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত