রমজানের সুযোগ কাজে লাগানো
হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলে আকরাম (সা.) শাবান মাসের শেষের দিকে আমাদের খুতবা শোনালেন। তিনি বলেন, হে লোক সকল, এক মহিমান্বিত মাস তোমাদের সামনে সমাগত। এটি একটি বরকতময় মাস। এতে এমন একটি রাত, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। আল্লাহ পাক এ মাসে রোজা ফরজ করেছেন, কিয়ামুল তারাবিহকে সফল করেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসে কোনো একটি নফল ইবাদাত করল, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আদায় করল।’ (তিরমিজি: ১/৪৪৩, হাদিস: ১৯৬৫)
শিক্ষা
১. রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের বার্তা নিয়ে আবার এলো রমজান। তাই মহিমান্বিত এ মাসের প্রতিটি মুহূর্ত হোক পরকালীন কল্যাণের তরে নিবেদিত।
২. এ মাসের সবচেয়ে বড় ইবাদত রমজানের ফরজ রোজা। কোনোভাবেই এতে যেন গাফিলতি না হয় সে বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
৩. দিনের সিয়াম শেষে রাতের কেয়ামের মর্যাদা অনন্য। তাই মাসজুড়ে অবনত মস্তকে সিজদায় হোক প্রভুর আরাধনা।
৪. এ মাসের মূল আকর্ষণ লাইলাতুল কদর, হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এ রজনী অন্বেষণে কাটুক বিনিদ্র শেষ দশক।
৫. রমজান ইবাদতের মহাউৎসব। প্রতিটি ফরজ পালনের পাশাপাশি সুন্নত ও নফলের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য অপরিসীম।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত