থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরবে কয়েকদিন, মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টি
সক্রিয় মৌসুমী বায়ু এবং সম্ভাব্য লঘুচাপের প্রভাবে আগামী কয়েকদিন থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরতে পারে। আগামী মঙ্গলবার থেকে সারাদেশের কোথাও-কোথাও ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ২৭ তারিখের দিকে লঘুচাপটি তৈরি হতে পারে। তবে, এটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। প্রতিদিনই বৃষ্টিপাত হবে। ২৭ তারিখ থেকে কোথাও-কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হবে। মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত চলে এসেছে। মৌসুম বায়ুর প্রভাব, সেই সঙ্গে যদি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, তার প্রভাবে বৃষ্টিপাত বাড়বে। তিন-চারদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, লঘুচাপটি যদি নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়, এর নাম হবে ‘শক্তি’। নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া। এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের শনিবারের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু মিয়ানমারের আকিয়াব উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে এবং আরও অগ্রসর হওয়ার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। ২৭ মে পশ্চিমমধ্য এবং তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু লায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সন্দীপে; ৭৪ মিলিমিটার। এছাড়া, পটুয়াখালীতে ৭১, বগুড়ায় ৪০, খুলনার কয়রায় ৩৭, বরিশালে ২৮, সাতক্ষীরায় ২৭, নেত্রকোনায় ২০, কুড়িগ্রামে ১৩, রাজশাহীতে ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রংপুরে; ৩৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত