বন্যায় সিলেটে ম্লান ১৫ হাজার পরিবারের ঈদ আনন্দ
সিলেটে এবার বন্যায় ম্লান ঈদের আনন্দ। ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। কেউ কেউ বাস করছেন আশ্রয়কেন্দ্রে আবার অনেকে নিজ বাড়িতে যুদ্ধ করছেন পানির সঙ্গে। বন্যায় ঈদের আনন্দ এবার মাটিতে মিশে গেছে সিলেট জেলার চার উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের। প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা, পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ৪ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। বৃষ্টি না থাকায় সিলেট নগর থেকে পানি নামলেও সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নতুন করে সিলেটের জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, কানাইঘাট, বালাগঞ্জ উপজেলাসহ নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ডাইক ভেঙে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে কোনোভাবেই মানুষের আতঙ্ক কাটছে না। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের মানুষ খোঁজ নিয়েছেন নিরাপদ আশ্রয়ের।
সিলেটের চার উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ১৫ হাজার ৬০৭ জন। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ৪৩২ জন। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫৮২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়গুলোতে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। চাল ও শুকনো খাবার খাবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অসংখ্য স্থানে ডাইক উপচে পানি প্রবেশ করে। এতে প্লাবিত হয় বিভিন্ন গ্রাম, হাটবাজার ও বসতবাড়ি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। বন্যার্ত বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। দুর্যোগকালীন মজুদকৃত ভাণ্ডার হতে এখন পর্যন্ত শুকনো খাবার ৭০০ বস্তা, জিআর চাল ৩২০ মেট্রিক টন, জিআর নগদ অর্থ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, শিশু খাদ্য ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং গোখাদ্য ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত