চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মাহমুদুর রহমানের মা

| আপডেট :  ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৫  | প্রকাশিত :  ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৫

আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মা অধ্যাপক মাহমুদা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (০৬ জুলাই) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর জুরাইন পুরনো ভিআইপি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। দাফন শেষে মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাংবাদিক এম. আব্দুল্লাহ, আমার দেশ-এর পরিচালক আনোয়ারুন্নবী মজুমদার বাবলা ও শাকিল ওয়াহেদ, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বিএফইউজের সিনিয়র সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, পিএসসির সদস্য নাজমুল আলম মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মনির হোসেন প্রমুখ।

এর আগে জোহরের নামাজের পর রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন গুলশান আজাদ মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহিম।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান প্রমুখ। 

রোববার ভোরে রাজধানীর মগবাজারের ইনসাফ বারাকাহ কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন অধ্যাপক মাহমুদা বেগম। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি একমাত্র ছেলে মাহমুদুর রহমান, পুত্রবধূ ফিরোজা মাহমুদ এবং ছোট বোন মনিরা মাহমুদসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও ছাত্র-ছাত্রী রেখে গেছেন।

জানাজার আগে আবেগ-আপ্লুত কণ্ঠে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমার মা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মানুষ ছিলেন। তিনি আমাকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছেন। তিনি অনাড়ম্বর জীবন-যাপন করতেন। আমার জানা মতে, তিনি কাউকে কষ্ট দেননি।

তিনি আরও বলেন, আমার মা অনেক ছাত্রকে পড়িয়েছেন। এই জানাজায় ছাত্ররা এসেছেন। শিক্ষকতাকালে আমার মা যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকেন, তাহলে ক্ষমা করে দেবেন। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত