এক প্রতিভাবান নির্মাতার ট্র্যাজিক জীবন

| আপডেট :  ০৬ জুলাই ২০২৫, ০১:১৫  | প্রকাশিত :  ০৬ জুলাই ২০২৫, ০১:১৫

মাত্র ৩৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ভারতের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা গুরু দত্ত। ১৯৬৪ সালে তার অকালমৃত্যু ভারতীয় চলচ্চিত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু ‌‘পিয়াসা’, ‘কাগজ কে ফুল’-এর মতো কালজয়ী চলচ্চিত্রের নির্মাতা হিসেবে তিনি আজও দর্শকের হৃদয়ে জীবিত।

আসছে সপ্তাহে এই নির্মাতার জন্মশতবার্ষিকী। ১৯২৫ সালের ৯ জুলাই কর্ণাটকের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া গুরু দত্তের প্রকৃত নাম ছিল বসন্ত কুমার শিবশঙ্কর পাড়ুকোন। তার শৈশব কেটেছে অভাব আর পারিবারিক অশান্তির মধ্যেই। পরবর্তী সময়ে পরিবারসহ পশ্চিমবঙ্গে চলে আসার পর তিনি বাঙালি সংস্কৃতির গভীর প্রভাবে বেড়ে ওঠেন, যা তার চলচ্চিত্রে গভীর ছাপ রেখে যায়।

 

চলচ্চিত্র জগতে তার পথচলা শুরু হয় কোরিওগ্রাফার হিসেবে। পাশাপাশি তিনি টেলিফোন অপারেটরের কাজও করেছেন জীবিকা নির্বাহের জন্য। ১৯৪০-এর দশকের রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা তার মনোজগতে গভীর প্রভাব ফেলে। সে সময়েই তিনি লিখেছিলেন কশমকশ, যা এক শিল্পীর সমাজবিমুখতা ও হতাশার গল্প। এই ভাবনা থেকেই পরবর্তী সময়ে জন্ম নেয় তার মাস্টারপিস হিন্দি ড্রামা ফিল্ম `পিয়াসা’।

বন্ধুত্ব, প্রেম ও চলচ্চিত্রজগতের উত্থান

গুরু দত্তের চলচ্চিত্রজগতে প্রবেশে বড় ভূমিকা রাখেন তার বন্ধু অভিনেতা দেব আনন্দ। ১৯৫১ সালে দেব আনন্দের প্রযোজনায় ‘বাজি’ ছবির মাধ্যমে পরিচালনায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর তার জীবনেই আসে প্রেম। কণ্ঠশিল্পী গীতা রায়ের সঙ্গে তার পরিচয় ও পরবর্তী সময়ে বিয়ে হয়।

তার বোন ললিতা লাজমি বলেন, `পিয়াসা ছিল তার স্বপ্নের ছবি। এই সিনেমা নিয়ে তিনি ছিলেন অতি আবেগপ্রবণ ও পারফেকশনিস্ট।’ নির্মাণের সময় তিনি বারবার চিত্রনাট্য ও ক্যামেরা সেটিংসে পরিবর্তন আনতেন। শেষ দৃশ্যটি পর্যন্ত তিনি ১০৪ বার শুট করেছিলেন।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত