দুদককে দেওয়া চিঠির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে: ফয়েজ তৈয়্যব

| আপডেট :  ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৮  | প্রকাশিত :  ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৮

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যানকে দেওয়া একটি চিঠি নিয়ে গণমাধ্যমে ভুল সংবাদ প্রচার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। 

সোমবার (০৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। 

তিনি বলেন, প্রকল্পটি বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলেই নেওয়া হয়েছিল। এমনকি সেই প্রকল্পের জন্য অফেরতযোগ্য এলসির ২৯০ কোটি পরিশোধ করা হয়েছে। আর যেহেতু বিটিসিএলের ক্যাপাসিটি সম্প্রসারণ করা দরকার তাই আমি প্রকল্পটি চালিয়ে নিতে দুদকের সহায়তা চেয়েছি। 

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, আমি বা আমার মন্ত্রণালয় কেউই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। দুদকের তদন্ত থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে একটি রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। বিষয়টি আদৌ সত্য নয়। মূলত সেই ডিও লেটার দিয়ে দুদকের আন্তরিক সহোযোগিতা কামনা করা হয়েছে। যে প্রজেক্টটি নিয়ে কথা হচ্ছে সেখানে আমি এবং নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার আগে ২৯০ কোটি পরিশোধ করা হয়ে গেছে। বিগত সরকারের কিছু সুবিধাভোগী বিটিসিএলকে ব্যবসা করতে দিতে চায় না। তাই তারা এই প্রকল্পটি থামিয়ে দিতে চায়। 

তিনি বলেন, এরই মধ্যে বেসরকারি একটি কোম্পানি ৫জি ক্যাপাসিটি তৈরি করছে। বিটিসিএল যদি তার সক্ষমতা বাড়াতে না পারে তাহলে তারা মার্কেট আউট হয়ে যাবে। এখন যেহেতু তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাদের ক্যাপাসিটি বাড়াচ্ছে, তাই বিটিসিএলের ক্যাপাসিটিও বাড়ানো দরকার।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, বিটিআরসি এবং ডাক টেলিযোগাযোগ বিভাগ বর্তমানে একটি নতুন প্রজন্মের টেলিকম লাইসেন্স পলিসি নিয়ে কাজ করছে, যা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন এবং জিএসএমএসহ প্রত্যেক আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার প্রধানতম নির্দেশনা। এখানে বিশ্বে অপ্রচলিত এরকম লাইসেন্সসমূহকে ডিসকন্টিনিউ করার এবং বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ লাইসেন্সকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার একটা চেষ্টা হচ্ছে। এরপর থেকেই, কতিপয় মিডিয়া এবং স্বার্থান্বেষী কমিউনিকেশন মাফিয়াদের রোষানলে পড়েছি।

বিটিআরসির লাইসেন্স রিফর্ম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, আমরা প্রতিটি স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বসে এটি নিয়ে আলোচনা করছি। সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক দল এই বিষয়ে মতামত দিয়েছে, আমরা তাদের মতামতও বিবেচনা করছি। বিটিআরসি ২০১০ সালে আইএলডিটিএস নীতি চালু করে। এই নীতি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের (এমএনও) কার্যক্রমের সুযোগকে সীমিত করে। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে একের পর এক লাইসেন্স প্রদান করে। আমরা এটি ভাঙতে চাই। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে পলিসি আছে এ ধরনের পলিসি বিশ্বের কোথাও নেই। আইসিএক্স নামে যে লাইসেন্সগুলো আছে বা নিক্স নামে একটা লাইসেন্স আছে, এই ধরনের লাইসেন্স বিশ্বের কোথাও নেই। আইসিএক্স মালিকরা বলেন যে, তারা ৫০ শতাংশ রেভেনিউ দেয়। কিন্তু তারা যেহেতু উল্লেখযোগ্য ভ্যালু এড করে না, তাই তার ৯৫ শতাংশ রেভেনিউ শেয়ার করার কথা। তা না দিয়ে, উল্টো তারা ৫০ শতাংশ রেভিনিউ মার্কেট থেকে তুলে নিয়ে যায়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত