লেবানন যুদ্ধে ইসরায়েলের আরও ৪ সেনা নিহত, আহত ১৪
দক্ষিণ লেবাননের একটি গ্রামে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষে আরও চারজন ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং ১৪ সেনা আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ হতাহতের খবর জানায়।
নিহত সেনাদের মধ্যে রয়েছেন ক্যাপ্টেন (রিজার্ভ) রাব্বি আব্রাহাম যোশেফ গোল্ডবার্গ (৪৩), মাস্টার সার্জেন্ট (রিজার্ভ) গিলাদ এলমালিয়াচ (৩০), ক্যাপ্টেন (রিজার্ভ) অমিত চাইউট (২৯) এবং মেজর (রিজার্ভ) এলিয়াভ আব্রাম আবিতবোল (৩৬)। তারা সবাই আলন ব্রিগেডের ৮২০৭তম ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন।
এ চার সেনা আলন ব্রিগেডের ৮২০৭তম ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। তাদের মৃত্যু ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ তারা দেশের নিরাপত্তার জন্য লড়াই করছিলেন।
ইসরায়েলের সেনাদের নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হওয়া লেবাননের যুদ্ধের একটি নতুন অধ্যায়। যুদ্ধটি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে আইডিএফের চলমান স্থল অভিযানের অংশ এবং সীমান্তে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। আইডিএফের মতে, এ নতুন ঘটনার ফলে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘাতের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী হিজবুল্লাহকে পিছু হটাতে তাদের অস্ত্র মজুত ও তৈরি স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে। বৈরুতে হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রাগারে হামলা চালানো হয়েছে, যা সংঘাতের তীব্রতা বাড়াচ্ছে।
এ ছাড়া হিজবুল্লাহর ওপর ক্রমবর্ধমান হামলার ফলে ইসরাইলের উত্তর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিরাপত্তার জন্য ৬০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতি মানবিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করছে।
এখন পর্যন্ত চলমান লেবানন যুদ্ধে ২০০০-এর বেশি হিজবুল্লাহ সদস্য নিহত হয়েছে এবং আইডিএফের ৫৫ জন সৈন্য ও রিজার্ভ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় আইডিএফ। এ পরিসংখ্যান যুদ্ধের পরিস্থিতির জটিলতা ও সংঘাতের তীব্রতার কথা বলছে।
ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হিজবুল্লাহর রকেট ও ড্রোন হামলার ফলে উত্তর ইসরাইলের অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখানে প্রচুর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
চলমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের গোটা অঞ্চলে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সূত্র : টাইম অব ইসরায়েল
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত