দুদকের মামলায় চট্টগ্রাম আদালতে সাবেক এমপি বদি

| আপডেট :  ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৭  | প্রকাশিত :  ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৭

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়েছে। ১৭ বছর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। ওই মামলায় সোমবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ কবির উদ্দিন প্রামাণিকের আদালতে বদিকে তোলা হয়।

চলতি বছরের ২৪ আগস্ট রাতে নগরের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে আবদুর রহমান বদিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭। সরকার পতনের পর টেকনাফ থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

দুদক সূত্র জানায়, ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৪ টাকার তথ্য গোপন এবং ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে বদির বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। পরের বছর তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলার সময় আবদুর রহমান বদি টেকনাফ পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র ছিলেন।

পরে বদি উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে এলে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত থাকে। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে দীর্ঘদিন পর ২০১৭ সালে মামলাটি সচল হয়।

২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। বিচারের এই আদেশের বিরুদ্ধে বদি হাইকোর্টে যান। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেন। পরে একইবছরের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু।

আদালত সুত্র জানায়, দুদকের মামলায় চট্টগ্রাম আদালতে বদির আজ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য ছিল। এদিন ইসলামী ব্যাংক টেকনাফ শাখার সাবেক ম্যানেজার এবং  ইসলামী ব্যাংক কক্সবাজার শাখার তৎকালীন অফিসারের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে এ কার্যক্রম। 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) চট্টগ্রাম বিভাগীয় মো. মুফিজ উদ্দিন জানান, তাকে ২০০৮ সালের দুদকের একটি মামলায় আদালতে আনা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, পরিপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে দুপুরে টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে আদালতে হাজির করা হয়। দুজন ব্যাংক কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ফের তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।

বাদীর আইনজীবী অ্যাড. রফিক জানান, এটি ২০০৮ সালের মামলা। তিনি তখন পৌরসভার দায়িত্বে ছিলেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করে দুদক। আজ সাক্ষী গ্রহণের দিন ছিল। দুদকের পক্ষে দুইজন ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত