রুশ সামরিক বাহিনীতে বিদেশি সেনা অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ
ইউক্রেনের মাটিতে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করে যাচ্ছে রুশ সেনারা। তাদের মোকাবিলায় নিজেদের মাটিতে ব্রিটিশ সেনাদের অবস্থান অনুমোদন করেছে কিয়েভ প্রশাসন। তবে আপত্তি প্রতিপক্ষের বেলায়।
সম্প্রতি এমন এক ঘটনায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জানান, বিদেশ থেকে শুধু অস্ত্র নয় বরং সেনাও নিয়ে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জানান, তার দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে উত্তর কোরিয়া থেকে আনা অস্ত্রের পাশাপাশি দেশটির সেনাদেরও ব্যবহার করছে রাশিয়া। জেলেনস্কি জানান, যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার অবিশ্বাস্য মিত্রতা দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে বিষয়টি শুধু অস্ত্র সরবরাহে আটকে নেই বরং উত্তর কোরিয়া থেকে রুশ বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করার জন্য সেনাও পাঠানো হচ্ছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।
জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেন এবং তার মিত্রদের রুশ শক্তিশালী জোটের আলোকে নিজেদের প্রতিক্রিয়া বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে একটি বড় যুদ্ধ প্রতিরোধে সামরিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের মতে, সম্মুখ সমরে কিয়েভের আরও সহায়তা প্রয়োজন। যখন ইউক্রেনের দীর্ঘপাল্লার সক্ষমতা বাড়ানোর কথা আসে তার মানে শুধু অস্ত্র সহায়তা নয় বরং আগ্রাসী শক্তির ওপর চাপ বৃদ্ধি করাও বোঝায়। এতটা চাপ দিতে হবে যা রাশিয়া সামলাতে পারবে না।
পশ্চিমা এ মিত্র আহ্বান জানান, মিত্রদের উচিত রুশ ভূখণ্ডের গভীরে সামরিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণের জন্য দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া যাতে রুশ বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা কমে আসে। সত্যিকারের শান্তি শুধু শক্তির মাধ্যমেই অর্জন করা যায়।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন জানান, ‘যথেষ্ট সম্ভাবনা’ রয়েছে যে, রুশ বাহিনীকে সহায়তা করতে সেনা মোতায়েন করেছে উত্তর কোরিয়া। এক পার্লামেন্টারি শুনানিতে কিম আরও জানান, রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর হামলায় উত্তর কোরীয় কয়েকজন সেনা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমের এসব সংবাদ ‘সত্যি বলেই মনে করা হচ্ছে’।
এদিকে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে উত্তর কোরীয় সেনা অন্তর্ভুক্তির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয় ক্রেমলিন। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীকে সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়া আসলেই সেনা পাঠাচ্ছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ জানান, ‘এটি কেবল আরেকটা গুজব।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত