কানাডা, যুক্তরাজ্য ও ইইউ’র নতুন নিষেধাজ্ঞায় মিয়ানমারের জান্তা
মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে জান্তার। এরমধ্যে বড় ধাক্কা খেয়েছে সেনাবাহিনী। পশ্চিমা বড় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে তারা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তার ওপর কানাডা যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর ফলে দুই রাষ্ট্র ও জোটের কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তির থেকে বিমানে ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি কিনতে পারবে না জান্তা।
যুক্তরাজ্যের এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তার সামিরক শক্তি, উপকরণ এবং তহবিল বাধাগ্রস্ত করতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সাধারণ জনগণকে হত্যার জন্য পরিচালিত কোনো বিমানে আমাদের থেকে কেনা জ্বালানি ব্যবহার আমরা চাই না।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত আগস্টে সাধারণ জনগণতে দমন করতে জান্তা বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান হামলা হয়েছে। এসব অভিযানে শতাধিক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। ফলে মানবাধিকার ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে।
৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর আগে ২০২২-২৩ সালে বিমানবাহিনীর জ্বালানি ও সমরাস্ত্র সরবরাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পশ্চিমা বিশ্ব কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র মন্ত্রী ক্যাথেরিন ওয়েস্ট বলেন, মিয়ানমারের জান্তা যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে বেসামরিক লোকদের হত্যা করছে তা কেবল অগ্রহণযোগ্য নয়। বরং এটি সহ্যসীমার বাইরে।
তিনি বলেন, জান্তার এমন কর্মকাণ্ডের কারণে কানাডা এবং ইইউর সঙ্গে যৌথভাবে যুক্তরাজ্যও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের থেকে কেনা জ্বালানি সাধারণ জনগণকে হত্যার জন্য ব্যবহারের বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের জনগনের সংগ্রাম ও সত্যিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের লড়াইয়ে যুক্তরাজ্যের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত