ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাজপথে কিউবার প্রেসিডেন্ট
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে ক্যারিবিয়ান দেশ কিউবায় ফিলিস্তিনপন্থি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে মিছিলটিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ এবং ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানাতে এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
রাজধানী হাভানায় অনুষ্ঠিত এ মিছিলে হাজার হাজার কিউবান জনগণ অংশগ্রহণ করেন, প্রেসিডেন্ট দিয়াজ-ক্যানেল ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে। বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী স্কার্ফ ‘কেফিয়াহ’ পরিধান করেন।
মিছিলে অংশ নেওয়া প্রায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থীও নিজেদের সমর্থন জানান। তারা একটি বড় ব্যানার বহন করেন, যাতে লেখা ছিল, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন দীর্ঘজীবী হোক।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মিশেল মারিনো বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য দাবি ও স্বাধীনতা এবং ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।
অন্যদিকে, কিউবাতে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি ছাত্র মোহাম্মদ সুওয়ান বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে বিশ্ব নেতৃত্ব পঙ্গু হয়ে গেছে। বিশ্ব মোড়লরা এ ট্র্যাজেডি বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, এ ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ মিছিলটি ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধের বার্ষিকীতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তবে হ্যারিকেন মিল্টনের কারণে তা স্থগিত করা হয়। ওই সামুদ্রিক ঝড় গত সপ্তাহে কিউবা ও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছে।
গাজা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২,৩০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ৯৮,৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত