বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চায় তুরস্কের নাইজেলা গ্রুপ

| আপডেট :  ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৫  | প্রকাশিত :  ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৫

বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে তুরস্কের নিরাপদ ও প্রাকৃতিক খাদ্যপণ্য ও প্রসাধনী সামগ্রীর বিশ্বখ্যাত কোম্পানি নাইজেলা ওয়ার্ল্ড। এজন্য বাংলাদেশি কোস্পানি হ্যাপিহাট লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে গ্রুপটি।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। 

ডি-৮ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডি-৮সিসিআই) মহাসচিব আশরাফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নাইজেলা ওয়ার্ল্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান ফাতিহ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন লরা অ্যাকার, আব্দুল্লাহ আতাকান কারাতাস এবং হ্যাপিহাট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আহমেদ রেহানুল বারী চৌধুরী। 

অনুষ্ঠানে নাইজেলা ওয়ার্ল্ড এবং হ্যাপিহাটের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ সময় ফাতিহ এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আমহেদ রেহানুল বারী চৌধুরী সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় উভয় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানগণ কৃষিখাতকে টেকসই করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং কৃষকদের আধুনিক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কৃষকদের আরও বেশি সচেতন করার উপর জোর দেন।  

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নাইজেলা নামক বহুমুখী কালোবীজ থেকে উৎপাদিত স্বাস্থ্যপণ্যগুলোর জন্য ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং এশিয়ার ৬৩টি দেশে সুপ্রতিষ্ঠিত নাইজেলা ওয়ার্ল্ড। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ভেষজ তেল থেকে নিরাপদ খাদ্য সামগ্রী, ত্বকের যত্ন এবং প্রসাধনী উৎপাদনে ব্র্যান্ডটি গুণমান, নির্ভরযোগ্যতা প্রদানে বিশ্বব্যাপী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য নিরাপদ খাদ্য, ফল এবং কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের হ্যাপিহাট লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে তুরস্কের নাইজেলা ওয়ার্ল্ড।

চার দিনের সফরে ঢাকা এসে গ্রুপটির চেয়ারম্যান ফাতিহ বলেন, সরকারের নীতি-সহায়তা পেলে বাংলাদেশে পর্যায়ক্রমে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায় তুরস্কের নাইজেলা ওয়ার্ল্ড। এছাড়া পর্যায়ক্রমে ৩ বিলিয়নে উন্নীত করা হবে বলে জানান তিনি। কৃষি, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং সামাজিক মূলধন সৃষ্টিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী তিনি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্লক চেইন টেকনোলজি ইনস্টিটিউট করারও পরিকল্পনা রয়েছে গ্রুপটির। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সোনালী আঁশ খ্যাত পাটের বৈচিত্রময় ব্যবহার এবং পরিবেশ বান্ধব টেক্সটাইলকে আরএমজিতে একটি বায়োডেগ্রেডেবল পণ্য হিসেবে যুক্ত করার ক্ষেত্রে কাজ করবেন।

আমহেদ রেহানুল বারী চৌধুরী বলেন, হ্যাপিহাট লিমিটেডের সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশে নাইজেলার বাজার তৈরি এবং হ্যাপিহাটের দেশীয় নিরাপদ পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, হ্যাপিহাট সতেজ, স্বাস্থ্যকর ফল, শাকসবজি, বিভিন্ন মসলা উৎপাদন করছে, যা সম্পুর্ণ দেশীয় এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত। এক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষকের সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কোনো প্রকার ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার না করার শর্তে চুক্তিবদ্ধ হয়ে পণ্য উৎপাদন করে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত