যুদ্ধক্ষেত্র হবে না ইরাক : ইরাকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে ইরান এবং ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধের দিকে মধ্যপ্রাচ্য যাবে না।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বাগদাদে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হোসাইন এ বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। যুদ্ধ এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ চলছে এবং ইরাকের আকাশসীমাকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দূরে রাখা হবে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি উল্লেখ করেন, তেহরান যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধ উভয়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে, তবে তাদের মূল লক্ষ্য গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করা।
সম্প্রতি, ইসরায়েল লেবাননে হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহ প্রধানসহ ইরানের সামরিক বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে, যার প্রতিক্রিয়ায় ইরান অন্তত ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পাল্টা জবাব দেয়। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ইরান অন্যান্য প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালাচ্ছে যাতে ইসরায়েল তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করে হামলা না চালাতে পারে।
ইসরায়েল সম্ভাব্যভাবে ইরানের তেল ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানার কথা ভাবছে এবং এ ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আঞ্চলিক সংঘাত এড়ানোর লক্ষ্যে উভয় পক্ষের মধ্যকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এখনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে এর জবাব দিতে মরিয়া ইসরায়েল। বলা হচ্ছে, কঠোর প্রতিশোধ নিতে ইরানের তেল অথবা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। হামলার ধরন নিয়ে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।
সূত্র : আল-জাজিরা
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত