মাঝেমধ্যে দর্শকদের জিতিয়ে দিতে হয়
শরাফ আহমেদ জীবন। একাধারে তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাতা, নাট্য নির্মাতা ও অভিনেতা। এবার তার সঙ্গে আরও একটি পরিচয় যুক্ত হয়েছে, সেটি হলো চলচ্চিত্র নির্মাতা। প্রথমবারের মতো তিনি ‘চক্কর ৩০২’ শিরোনামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। সিনেমাটি এখন সেন্সরে আছে।
‘চক্কর ৩০২’ নিয়ে জীবন কালবেলার সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন। জানান, সিনেমাটি নিয়ে তার জার্নি ও প্রত্যাশার কথা।
জীবন বলেন, ‘আমার ফিকশন দিয়ে নির্মাতা হিসেবে কাজ শুরু হয়। এরপর বিজ্ঞাপন, তারপর নাটক, এবার সিনেমা নির্মাণ করলাম। প্রতিটি সেক্টরেই কাজের আলাদা আলাদা অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে সিনেমা নির্মাণের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গেলে শুরুতেই আমি বলব, আমাদের গল্পটি নিয়েই দীর্ঘদিন কাজ করতে হয়েছে। কারণ আমার প্রথমেই মনে হয়, সিনেমার জন্য আমাদের নিজেদের গল্প লাগবে। যেই গল্প আমাদের নিজেদেরই লিখতে হবে। এরপর কনসেপ্ট নিয়ে আমার প্রধান অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর নাহিদের সঙ্গে কথা বলি। তাকে বলি এই থিমের ওপর গল্প লিখতে। ও গল্প লেখা শেষ করার আগেই আমরা একটি লাইনআপ করে সিনেমাটি সরকারি অনুদানের জন্য জমা দিই। এরপর গল্প তৈরি হতে হতে আমরা সরকারি অনুদান পেয়ে যাই। তারপর আর আমাদের পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অবশেষে কাজটি শেষ হয়েছে। এখন সেন্সরে আছে, আশা করি ভালো একটি ফল আসবে। এ ছাড়া এটি নির্মাণ করতে গিয়ে ভালো-খারাপ মিলিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে যেহেতু কাজটি এখন একদম শেষ পর্যায়ে, শুধু মুক্তির অপেক্ষায় আছে। তাই কোনো অভিজ্ঞতা নিয়েই এখন আর ভাবছি না। শুধু সিনেমাটি নিয়েই ভাবছি। এখন মুক্তির পর দর্শকদের অনুভূতি পেলেই আমার শান্তি।’
এরপর সিনেমার পোস্টারে টুইস্ট ও কবে মুক্তি পাবে জানতে চাইলে জীবন আরও বলেন, “এরই মধ্যে ‘চক্কর ৩০২’-এর টিজার ও পোস্টার প্রকাশ করেছি। তবে সর্বপ্রথম আমরা যে পোস্টার প্রকাশ করেছিলাম, যেখানে দেখা যায়, ব্ল্যাক শেডে উদ্বিগ্ন দৃষ্টিতে কেউ একজন পিস্তল হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। তার চারপাশটা ঘূর্ণায়মান। এ পোস্টারটি অনেক সাড়া ফেলে দর্শকদের মাঝে। তখন অনেকেই মনে করে দর্শকদের বোকা বানানোর জন্য আমি এমনটি করেছি। কিন্তু বিষয়টি আসলে তা নয়। পোস্টারটি আমরা এমনভাবে তৈরি করেছিলাম যে, দর্শক প্রথম দেখাতে মোশাররফ ভাইকে একবারে না চিনতে পারলেও, তারা যেন একবার আইডিয়া করেই তাকে চিনে ফেলতে পারে। তাদের ধারণা যেন সঠিক হয়। কারণ মাঝেমধ্যে দর্শকদের জিতিয়ে দিতে হয়। তাদের আইডিয়া সঠিক করার জন্যই আমরা এ সামান্য টুইস্ট করেছিলাম। আর সিনেমাটির মুক্তির বিষয়ে এখনো কিছু বলতে পারছি না। কারণ হচ্ছে সেন্সর থেকে ছাড়পত্র পেলেই আমরা মুক্তির তারিখ ঘোষণা করতে পারব। তবে ইচ্ছা আছে যে কোনো একটি উৎসবে এটি মুক্তি দেওয়ার।”
সিনেমায় প্রধান চরিত্রে আছেন মোশাররফ করিম। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী রিকিতা নন্দিনী শিমু। সিনেমায় তিনি মোশাররফ করিমের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত