কমলাকে জেতাতে নারী প্রতিদ্বন্দ্বীকে সরে যেতে চাপ

| আপডেট :  ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩১  | প্রকাশিত :  ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩১

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এক প্রার্থীকে মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক তদবিরও এখন প্রকাশ্যে। তদবিরকারীরা চাচ্ছেন, ওই প্রার্থীকে সরিয়ে তার দল যেন কমলা হ্যারিসের সমর্থন দেয়। মূলত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য জয় ঠেকাতে এ উদ্যোগ।  

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কমলা হ্যারিসকে জেতাতে তৃতীয় প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় থাকা জিল স্টেইনের ওপর চাপ বাড়ছে। তাকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যেতে বা সরিয়ে দিতে চেষ্টা চলছে। ৭৪ বছর বয়সী জিল স্টেইন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। তিনি একাধারে চিকিৎসক ও অ্যাক্টিভিস্ট। গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের সময় গ্রেপ্তার হয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন জিল। ইসরায়েলের জন্য মার্কিন সমর্থন বাতিল করা, গর্ভপাত ও ট্রান্সজেন্ডারের অধিকার সুরক্ষা, বিনামূল্যে শিক্ষা ও চিকিৎসা ঋণ বাতিল করার পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন। তিনি ২০১২ ও ২০১৬ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে সে নির্বাচনে হেরে যান। এবার আরও সমর্থন আদায় করে নির্বাচনী মাঠে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোট ব্যাংকে ভয় ধরিয়েছেন। 

জিল স্টেইনের সমাবেশেও মানুষের সমাগম দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে গাজা যুদ্ধবিরোধী আমেরিকানদের সমর্থন পাচ্ছেন। এতে তিনি নির্বাচন বিশ্লেষকদেরও চোখে পড়েছেন। তাদের আলোচনায় জিলের নাম আসায় ইউরোপীয় গ্রিন পার্টির নেতাদের নজরে আসেন তিনি। তবে বৈশ্বিক সমর্থন পাওয়ার বদলে ইউরোপীয় নেতাদের একটি দল ইউএস গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জিল স্টেইনকে আগামী সপ্তাহের নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হওয়া থেকে বিরত রাখতে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করার জন্যও তাকে অনুরোধ করছেন।

পর্তুগাল এবং ইউক্রেনসহ ইউরোপের ১৬টি দেশের গ্রিন পার্টির নেতাদের কাছ থেকে অনুরোধটি এসেছে। তারা শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা স্পষ্ট যে, কমলা হ্যারিসই একমাত্র প্রার্থী যিনি হোয়াইট হাউস থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার গণতন্ত্রবিরোধী, কর্তৃত্ববাদী নীতিগুলোকে বাধা দিয়ে রাখতে পারেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত