মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেই হোক ইহুদিদের স্বার্থ রক্ষা অব্যাহত থাকবে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস উভয়েই ইহুদি সম্প্রদায় থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করেছেন। এই অর্থ প্রদান মার্কিন নির্বাচনী তহবিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা মার্কিন নির্বাচনের রীতি হয়ে আসছে।
নির্বাচনের তহবিল গঠনের মাধ্যমে ইহুদিদাতারা সাধারণত মার্কিন নির্বাচনে শক্তিশালী প্রভাব রাখেন।
এদিকে নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শাসনামলে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, যেমন জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া। এই কারণে ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবারও ইহুদি সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন অঙ্গীকার প্রদান করেছেন ট্রাম্প।
অপরদিকে, বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই। তিনি ইহুদিদাতাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছেন। তার নীতি হিসেবে দেখিয়েছেন মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর গুরুত্বারোপ, যা অনেক প্রগতিশীল ইহুদি ভোটারের জন্য গ্রহণযোগ্য পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। এবার নির্বচনে হ্যারিস ইহুদি সম্প্রদায়েরকে ভারসাম্যপূর্ণ নীতি তৈরি করার অঙ্গীকার প্রদান করেছেন।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী দু’জনই সমান সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন ইহুদীদাতাদের কাছ থেকে। এখন প্রশ্ন হলো, ট্রাম্প বা কমলা যেই নির্বাচিত হোক না কেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করে চলবে সামনের দিনগুলোতে।
এ বিষয়ে উভয় প্রার্থীই ইসরায়েলের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো ইসরায়েলের স্বার্থ মার্কিন বিদেশ নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী তহবিলে যখন ইহুদিদাতাদের পাল্লা ভারী দিকে তখন এ পরিস্থিতি প্রমাণ করে, মার্কিন নির্বাচনে ইহুদিদাতাদের সমর্থন রাজনৈতিক প্রার্থীকে নির্বাচিত করার পাশাপাশি ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষায়ও অবদান রাখে। তাই, ধারণা করা হয় আগামী দিনে মার্কিন সরকারের নীতিতে ইসরায়েল বরাবর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকবে।
সূত্র : আল জাজিরা
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত