বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ : ত্রাণ উপদেষ্টা 

| আপডেট :  ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৫  | প্রকাশিত :  ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৫

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ বলে মন্তব্য করেছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। তিনি বলেন, সচেতনতা ও  জ্ঞানের অভাবে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত মানবসৃষ্ট দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়।

মঙ্গলবার ( ০৫ নভেম্বর) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের মাল্টিপারপাস হলে ‘নগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা : সমস্যা ও প্রতিকার’ শীর্ষক কর্মশালায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

এ সময় উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, জীবন রক্ষার জন্য আমাদের প্রয়োজন শক্তিশালী প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা, উন্নত বিল্ডিং কোড এবং আরও ভালো নগর পরিকল্পনা। তিনি আরও বলেন, মানুষ সচেতন হলেই ঝুঁকি হ্রাস পাবে। সবাইকে সচেতন করার কাজটি অত্যন্ত কঠিন। এই সচেতনতা আমাদের প্রত্যেকের ঘর থেকেই আরম্ভ করতে হবে এবং অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। এ ছাড়া সরকারের ওপর নির্ভর না করে সর্বতোভাবে ভলান্টিয়ার সৃষ্টি করতে হবে। 

উপদেষ্টা বলেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় ভূমিকম্প ব্যবস্থাপনায় পারদর্শী অন্য দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আদলে কার্যকর মডেল সৃষ্টি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সবাইকে প্রস্তুত রাখা একটি সময়ের দাবি। এ ছাড়া আমাদের সব সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিজস্ব উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য যথেষ্ট গবেষণার প্রয়োজন। আমি আশা করি, তরুণ প্রজন্ম এসব ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

ফারুক ই আজম বলেন, প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট দুর্যোগের চেয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তা হলো আমাদের দারিদ্র্যতা। বাংলাদেশের প্রায় ৭৫টি উপজেলার শতকরা ৫০ থেকে ৮০ ভাগ জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। তিনি বলেন, দারিদ্র্যজনিত অপুষ্টি একটি দুর্বল জাতি সৃষ্টি করবে যার পরিমাণ হবে ভয়াবহ। তাই আমি দারিদ্র্যকে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, এনডিস-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তররের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান, যুগ্ম সচিব মো. আহমেদুল হক, বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী।

কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের ৭০ জন প্রতিনিধি অংশগ্ৰহণ করেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত