কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ : এফএএস ফাইন্যান্সের পর্ষদ পুনর্গঠন

| আপডেট :  ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৬  | প্রকাশিত :  ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৬

এবার নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে পাঁচজনকে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে। 

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আদেশে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়। 

এর আগে সম্প্রতি ‘১৮ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘লাইফ সাপোর্টে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে কালবেলা। এর প্রেক্ষিতে বুধবার ভেঙ্গে দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানের পর্ষদ।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশে বলা হয়, আমানতকারী ও ফাইন্যান্স কোম্পানির যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাসহ জনস্বার্থে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। 

এতে চেয়ারম্যান করা হয়েছে সাবেক মেজর জেনারেল মো. আনোয়ারুল ইসলামকে। বাকি চার স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল হাকিম, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মোখলেসুর রহমান এবং মোস্তফা কামাল আহমদ।

জানা যায়, ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের একক নিয়ন্ত্রণে ছিল নিটল-নিলয় গ্রুপ। সেই সময় পর্যন্ত এফএএস ফাইন্যান্সের প্রায় ৩৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা ছিল নিটল-নিলয় গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির হাতে। 

তখন সেটি ভালো মানের আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে পুঁজিবাজার থেকে শেয়ার কিনে এফএএস ফাইন্যান্সের পর্ষদে যুক্ত হতে শুরু করেন পিঅ্যান্ডএল ইন্টারন্যাশনাল ও রেপটাইল ফার্ম নামে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। আর নিটল-নিলয় গ্রুপ প্রতিষ্ঠানটি ছাড়তে শুরু করে। 

এরপর আর্থিক খাতের আলোচিত ব্যক্তি পি কে হালদারের সমর্থনে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনায় যুক্ত হয় সিমটেক্স ও ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স নামের আরও দুটি প্রতিষ্ঠান। এরই একপর্যায়ে ২০১৭ সালে পুরো প্রতিষ্ঠানটি চলে যায় পি কে হালদারের হাতে। এরপর থেকেই অর্থ লুটপাট চলে প্রতিষ্ঠানটিতে। 

বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির ৯৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ ঋণই খেলাপি হয়ে পড়েছে। এর আগে ১১টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত