মধ্যনগরে নির্বাচনি যাতায়াত ভাতার ১০ লাখ টাকা নিয়ে ধোঁয়াশা

| আপডেট :  ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৮  | প্রকাশিত :  ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৮


মধ্যনগরে নির্বাচনি যাতায়াত ভাতার ১০ লাখ টাকা নিয়ে ধোঁয়াশা

সারাদেশ

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি


সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণকারী ৫১২ জন কর্মকর্তা তাদের প্রাপ্য ২ হাজার টাকা করে যাতায়াত ভাতা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ইউএনওর নির্দেশে তারা মাস্টাররোলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর নিলেও তাদেরকে সেই টাকা প্রদান করা হয়নি। এতে করে ওই কর্মকর্তাদের প্রাপ্য ১০ লাখ ২৪ হাজার টাকা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

গত রবিবার (৭ জানুয়ারি) মধ্যনগর উপজেলার ২৬টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সকল কেন্দ্রে ২৬ জন প্রিসাইডিং, ১৬৯ জন সহকারী প্রিসাইডিং ও ৩১৭ জন পোলিং কর্মকর্তাসহ মোট ৫১২ জন দায়িত্ব পালন করেছেন।

এসব দায়িত্ব পালনের জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ১২ হাজার, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৯ হাজার ও পোলিং কর্মকর্তা ৬ হাজার টাকাসহ যাতায়াত ভাতা বাবদ জনপ্রতি আরও ২ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা রয়েছে।

কিন্তু অন্যান্য ভাতার টাকা ঠিকমতো প্রদান করলেও ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আগে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতিশ দর্শী চাকমা ভোটগ্রহণকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যাতায়াত ভাতার টাকা বিতরণের মাস্টাররোলে স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন। কিন্তু বাঁকাতলা ও মাটিয়ারবন্দ কেন্দ্রের কেউ এতে স্বাক্ষর করেননি।

পার্শ্ববর্তী ধর্মপাশা উপজেলার ৪০টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দৈনিক ভাতার পাশাপাশি ২ হাজার টাকা করে যাতায়াত ভাতা প্রদান করা হয়েছে- এমনটি জানাজানি হলে মধ্যনগরের ২৬টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

আলমপুর দোয়াদুর রহমান কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, ইউএনও অফিসের একজন পিয়ন কেন্দ্রে গিয়ে ইউএনওর সাথে ফোনো কথা বলিয়ে দিলে ইউএনও আমাকে সকলের স্বাক্ষর নেওয়ার নির্দেশ দেন। স্বাক্ষর নিলেও কেউ যাতায়াত ভাতার টাকা পাইনি।

ঘাসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে ইউএনও আমাদের (প্রিসাইডিং অফিসার) নিয়ে সভা ডেকেছেন। সেখানে এ নিয়ে কথা বলবো। দেখি উনি (ইউএনও) কি সিদ্ধান্ত দেন। এর আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।

মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতিশ দর্শী চাকমা বলেন, কে কি (অন্যান্য উপজেলা) করেছে সেটা আমার দেখার বিষয় না। আমার যেটা দায়িত্ব আছে সেটা করেছি। আমার স্টাফ ভুল করে ভাউচারে স্বাক্ষর নিয়েছে। যেভাবে বরাদ্দ এসেছে সেভাবে দেওয়া হবে। আমি আমার দিক থেকে আমি ক্লিয়ার। এ ব্যাপারে আইনকানুন আছে। এ সংক্রান্ত চিঠিগুলো আছে। যে আসবে আমি তাকে বুঝিয়ে দিবো।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) সাথে কথা বলতে বলেন। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিজন কুমার সিংহের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিবার্তা/শহীদুল/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত