কোনো পদে বা পক্ষে থাকতে চান না এহসানুল হক সমাজী
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কোনো পদে বা পক্ষে থাকতে চান না বলে জানিয়েছেন ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
সমাজী বলেন, ‘আমাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এমন তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে। তবে আমি নিয়োগের বিষয়ে এখনো অবগত নই। যদি নিয়োগের সংবাদ সত্য হয়ে থাকে তাহলে আমার বক্তব্য হচ্ছে, আমি ইতোপূর্বে কতিপয় অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনা করতে যাই। এখন পেশাগত মর্যাদা সমুন্নত রাখা ও সকল প্রকার বির্তক এড়ানোর উদ্দেশ্যে এই পদে যোগদান না করাই সমীচীন বলে মনে করছি। সার্বিক পরিস্থিতিতে ট্রাইব্যুনালে কোনো পক্ষে মামলা পরিচালনা না করাটাই শ্রেয়।’
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঁচ আসামির পক্ষে শুনানি করতে যান এহেসানুল হক সমাজী। শুনানি শুরু হলে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আসামিপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী শুনানি করতে এসেছেন। তবে তিনি রাষ্ট্রীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসতে যাচ্ছেন বলে জেনেছি। ২/১ দিনের মধ্যেই হয়তো সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করবেন। তাই তিনি আসামিপক্ষে শুনানি করলে এটা হবে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট।’
এ সময় তাজুল ইসলাম তাকে আসামিপক্ষে শুনানি না করতে অনুরোধ জানান। এরপর এহেসানুল হক সমাজী ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘আমি এখনো ফরমাল কোন লেটার পাইনি। ফরমাল লেটার না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারছিনা। এ ছাড়াও যে পদে আমাকে নির্বাচিত করা হবে সেটা আমি গ্রহণ করবো কিনা সেটাও ভাববার বিষয়।’
এর আগে গত ২৭ আগস্ট এহেসানুল হক সমাজীকে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। তবে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে অভিহিত করে পদত্যাগ দাবি করেন। পরে ২৯ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি আর পদে যোগদান করেননি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত