বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতে ঢাকা কলেজের দুই শিক্ষার্থী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে পদ পেয়েছেন ঢাকা কলেজের দুই শিক্ষার্থী। তারা হলেন রসায়ন বিভাগের মোহাম্মদ রাকিব এবং বাংলা বিভাগের মুঈনুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
কমিটিতে ১৮ জন ছাড়াও পদাধিকারবলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্রও কমিটির সদস্য থাকবেন।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে জায়গা পাওয়া বাকি সদস্যরা হলেন মো. মাহিন সরকার, রশিদুল ইসলাম রিফাত, নুসরাত তাবাসসুম, লুৎফর রহমান, আহনাফ সাঈদ খান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), তারিকুল ইসলাম, মো. মেহেরাব হোসেন সিফাত, আসাদুল্লাহ আল গালিব, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, আসাদ বিন রনি, নাইম আবেদীন, মাহমুদা সুলতানা রিমি, ইব্রাহিম নিরব, রাসেল আহমেদ ও রফিকুল ইসলাম আইনী।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাকিব কালবেলাকে বলেন, জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের মানুষকে নতুন পথ দেখিয়েছে। আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করি এবং যারা আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তাদের সুস্থতা কামনা করি। এই আন্দোলন দেশের মানুষকে নতুন করে গণতন্ত্র নিশ্চিত, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের স্বপ্ন দেখিয়েছে। মানুষের এই স্বপ্ন যাতে আমরা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে পারি।
শিক্ষার্থী আরও বলেন, সাংগঠনিকভাবে আমাদের কার্যক্রম সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। আশা করি, দেশের মানুষ শুরু থেকে যেভাবে আমাদের সঙ্গে আছে এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে। আমরা দেশের মানুষকে সুন্দর একটা বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই, যেখানে বৈষম্য থাকবে না। সমানাধিকার নিশ্চিত করতে পারব, মানুষ ভোটাধিকার ফিরে পাবে। সেই সঙ্গে দেশের পূর্বের ফ্যাসিবাদী কাঠামো ভেঙে মানুষ সংবিধান অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করণসহ ২৪ জুলাইয়ের স্পিরিট যাতে আমরা অব্যাহত রাখতে পারি। দেশবাসীসহ ঢাকা কলেজের কাছে দোয়া সমর্থন আশা করি এবং আমার দায়িত্ব যেন ভালোভাবে পালন করতে পারি।
উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব করা হয়। এ ছাড়া আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়। এ কমিটি দিয়েই এতদিন সংগঠনটির কার্যক্রম চলছিল।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত